সাটুরিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশত সমিতি
- এ এস সফিক, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৬
কারো হাতে গোশত রাখার পাত্র, কারো হাতে ব্যাগ। কেউ গোশত আলাদা করে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করছেন। আবার কেউ পানি দিয়ে গোশত পরিস্কার করছেন। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করতে একজন বলে উঠেন 'ভাই এটি সমিতির গোশত। সমিতির সদস্যরাই এই গোশত পাবে। মানিকঞ্জের সাটুরিয়ায় এমনই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশত সমিতি।
উপজেলার হান্দুলিয়া গ্রামের আনু বোপারী (৫০) বলেন, আমরা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। সপ্তাহ শেষে সামান্য কিছু টাকা জমা করে বছর শেষে আমরা পশু কিনে সবাই গোশত খাই। ফলে আমাদের কষ্ট কম হয়।
ওই গ্রামের ফজল হক বলেন, গোশত কিনতে গেলে একসাথে অনেক টাকা লাগে, তাই আমরা সমিতির মাধ্যমে গরু কিনেছি।
গ্রামের বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত মানুষ এসব সমিতি করে বলেও জানান তিনি। গোশত সমিতির আরেক সদস্য মো: শুকুর সরকার বলেন, সমিতি থাকলে একসাথে এত টাকা দিতে হয় না। তাই আমরা সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা করে ঈদ এলে গরু কিনে সবাই গোশত ভাগাভাগি করে নেই।
সাটুরিয়া কালুশাহ কলেজের উপাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খান মজলিশ বলেন, সমাজের খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রেণির মানুষ এসব গোশত সমিতি করে। এটার ভাল দিক হচ্ছে সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা জমা করে এককালীন অনেক সস্তায় গোশত পায়। এ সমিতির কদর গ্রাম গঞ্জের সব জায়গায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: ইমরান হোসেন বলেন, সারা বছরের তুলনায় ঈদ মৌসুমে গোশতের চাহিদা বেড়ে চায়। এখানে মধ্যস্বত্তভোগীর কোনো ভূমিকা না থাকায় কসাইয়ের চেয়ে তারা কমদামে গোশত পেয়ে থাকেন। ফলে মানবদেহের উৎকৃষ্ট প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়।
সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইচ চেয়ারম্যান শিউলি আক্তার নয়া দিগন্তকে বলেন, সমবায়ের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষ সমিতির মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে থাকে। তার একটি উদারহণ হচ্ছে গরিবের গোশত সমিতি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা