ভাঙ্গায় স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক স্কুলছাত্র আদেল উদ্দিন ওরফে আরিফ হত্যা মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করা হয়েছে।

রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

আদেল উদ্দিন ওরফে আরিফ ভাঙ্গা উপজেলার চর দুয়াইড় জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সিকিম আলী ও সদরপুর উপজেলার চরমানইর গ্রামের মালেক মাতুব্বরের ছেলে আকরাম মাতুব্বর। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

মামলা সূত্রে জানান যায়, ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাশের বাজারের দোকানে টেলিভিশন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় উপজেলার চর দুয়াইড় জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আদেল উদ্দিন ওরফে আরিফ। পরদিন ভাঙ্গা থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার। আর নিখোঁজের আট দিন পর ব্রাহ্মণপাড়ার বাওড়ের গম ক্ষেতের মধ্যে আরিফের মস্তক ও দুই হাত বিচ্ছিন্ন অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আরিফের বাবা খালেক সরদার ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের পিপি মো: সানোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মায়ের বাবার বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। এরপর ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে তারা তাদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে রোববার আদালত চার আসামির মধ্যে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করে।

এছাড়া মামলায় অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।