নারায়ণগঞ্জের কিশোর ফয়সাল হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩১
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কিশোর ফয়সাল আহমেদ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো: আমিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়নগঞ্জকোর্ট পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামানা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সোনারগাঁ পৌরসভার বাঘমুছা ঋষিপাড়ার তপন চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস (২১)। একই সাথে মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা আরো তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার মৃত নিতাইয়ের ছেলে তপু চন্দ্র দাশ অপু (২৭), নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে তপন চন্দ্র দাস, মৃত রাইস্যা চন্দ্র দাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র দাস।
কিশোর ফয়সাল গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনারগাঁও থেকে নিখোঁজ হয়। ২৮ জানুয়ারি ফয়সালের মামা মো: মানিক সোনারগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। ৮ দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে সোনারগাঁওয়ের বাগমুছা ঋষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ফয়সালের লাশ উদ্ধার করা হয়।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামানা জানান, সোনারগাঁও উপজেলা থেকে নিখোঁজের ৮ দিন পর ফয়সাল আহম্মেদ (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলায় আদালত আজ এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অপূর্ব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি রাতে অপূর্ব চন্দ্র দাস ফোনে ফয়সালকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ফয়সাল দেখা করতে গেলে অপূর্ব তাকে বাড়ির পাশের উঁচু ভিটায় নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার এক ফাঁকে অপূর্ব তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ফয়সালের গলা পেঁচিয়ে ধরেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে কচুরিপানার নিচে ফয়সালের লাশ ডুবিয়ে রাখা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা