২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্যালাইন পুশ করার এক ঘণ্টা পর সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ান গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ

- ছবি : সংগৃহীত

স্যালাইন পুশ করার প্রায় এক ঘণ্টা পর সাড়ে তিন লাখ টাকা মূল্যের অস্ট্রেলিয়ান গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট তাপসের বিরুদ্ধে।

গাভীর মালিক কুলিয়ারচর পৌর এলাকার চারারবন মহল্লার মরহুম শেখ নিধু মিয়ার ছেলে মো: চাঁন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সাড়ে তিন লাখ টাকা মূল্যের তার একটি অস্ট্রেলিয়ান গাভীর বাচ্চা প্রসব হয়। বাচ্চা প্রসবের পর গাভীটি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় গত ৯ জুন শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট তাপসের পরামর্শে ও উপস্থিতিতে তার ছেলে রাহাত (১৯) কুলিয়ারচর বাজারস্থ অগ্রণী ব্যাংকের নিচ তলার খামারবাড়ি ফার্মেসী থেকে বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ক্রয় করে আনেন। পরে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট তাপস গাভীর গলার শিরার রগে স্যালাইনের সুই পুশ করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার সুই পুশ করার পর অবশেষে গলার শিরার রগে সুই পুশ না করে গোশতের মধ্যে স্যালাইন পুশ করে। এতে পুশ করা জায়গা ফুলে যায়। সঠিক জায়গায় স্যালাইন পুশ না করে অন্যত্র স্যালাইন প্রবেশ করায় ভুল চিকিৎসার ফলে এক ঘণ্টা পর গাভীটি মারা যায়।

চাঁন মিয়ার স্ত্রী কুলসুম আক্তার বলেন, গাভীটি প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ লিটার দুধ দিয়ে আসছিল। গাভীটি মৃত্যুর ফলে তাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ভেটেরিনারী ফিল্ড এসিস্ট্যান্ট তাপসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার পরামর্শে গাভীর মালিকের ছেলের আনা ঔষধ গাভীর শরীরে পুশ করা হয়। কিন্তু কেন কি কারণে গাভীটির মৃত্যু হয়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না।

তবে মৃত্যুর কারণ জানার জন্য গাভীটির ময়নাতদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্যার বলতে পারবে কি করা যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরীফ উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সোমবার দিন অফিসে এসে গাভীর মালিকের ছেলে রাহাতের সাথে কথা বলে এর একটি সমাধান করা হবে।

সঠিক সময়ে গাভীটির ময়নাতদন্ত করা না গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে কি না এ নিয়েও সন্দেহ আছে বলে অনেকে মনে করেন।


আরো সংবাদ



premium cement