২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গাজীপুরের নিখোঁজ ‘পাঠাও’ চালকের লাশ উদ্ধার

- ছবি : ফাইল

গাজীপুর থেকে নিখোঁজের পরদিন ‘পাঠাও’ চালক মো: রিফাত (২০) নামে এক কিশোরের লাশ তুরাগ নদীর আশুলিয়া হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার এ ঘটনায় নিহতের বাবা থানায় মামলা করেন।

রিফাত গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন এরশাদ নগরের ২ নম্বর ব্লকের মো: ফারুকের ছেলে। পূর্ব বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ তার পরিবারের।

নিহতের পরিবার জানায়, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন এরশাদ নগরের ২ নম্বর ব্লকের বাসায় থেকে ‘পাঠাও’ এর মোটরসাইকেল চালাতেন। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পাঠাও যায় একই ব্লকের আব্দুর রশিদের ছেলে তাইজুলছে কাজল (৩২) ও খোকন ওরফে খোকার ছেলে সোহাগ (৩৫)। এরপর নিখোঁজ হয় রিফাত। রাতে বাসায় ফিরে না আসায় রিফাতের সন্ধানে স্বজনেরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। ওই দুই যুবকের কাছে রিফাতের খোঁজ জানতে চাইলে তারা নানা তালবাহানা করতে থাকে।

জিএমপির গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম হোসেন জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ জিপিএস ট্র্যাকিং করে রাত দেড়টার দিকে রিফাতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি তুরাগ নদীর স্থানীয় পলাশোনা খেয়াঘাট এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে গাছা থানা পুলিশের সহায়তায় টঙ্গী নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রিফাতের খোঁজে তুরাগ নদীতে ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তল্লাশির একপর্যায়ে পরদিন বিকেলে ওই নদীর ভাটিতে আশুলিয়া থানার রৌদ্রপুর এলাকা হতে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনের গেঞ্জি ছেঁড়া ছিল ও নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বুধবার ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে রিফাতকে হত্যার পর গুম করার চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুও সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement