মামুনুল হকের ২য় বিয়ে বৈধ দাবি করে সাক্ষী দিলেন মামলার বাদির ছেলে!
- নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
- ০৬ জুন ২০২৩, ২০:০৩

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামলার বাদির ছেলে আব্দুর রহমান ও সোনারগাঁওয়ের সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুতের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন জানান, সাক্ষী আব্দুর রহমান বলেছেন- তার বাবার সাথে তার মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর তার মা মাওলানা মামুনুল হককে বৈধভাবে বিয়ে করেন। এতে করে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় মাওলানা মামুনুল হক নির্দোষ। এ মামলা থেকে তিনি খালাস পাবেন। আব্দুর রহমান সাক্ষী দেয়ার পর আদালতে তার নিরাপত্তা চেয়েছেন।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ (রকিব) চৌধুরী বলেন, বাদি জান্নাত আরা ঝর্নার ছেলে আব্দুর রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ সাক্ষীতে বলেছেন- মামুনুল হক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জান্নাত আরা ঝর্নাকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। পরবর্তী সময়ের সাক্ষীর জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল মামুনুল হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। একইসাথে আদালতপাড়াজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়।
২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মাওলানা মামুনুল হকের উপস্থিতিতে আলোচিত ‘দ্বিতীয় স্ত্রী’র সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসাথে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয়া হয়।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সাতে অবস্থান করছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্ট থেকে মাওলানা মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মাওলানা মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর গত ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মাওলানা মামুনুল হক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা