২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্ত্রীকে হত্যার পর পাগলের বেশ ধরেও শেষ রক্ষা হলো না লতিফের

- ছবি : নয়া দিগন্ত

স্ত্রীকে হত্যার পর পাগলের বেশ ধরেও শেষ রক্ষা হয়নি আব্দুল লতিফ কাজীর। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশনে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

গ্রেফতার আব্দুল লতিফ রাজবাড়ী সদরের বার্থা গ্রামের মরহুম মতিয়ার কাজীর ছেলে। তার স্ত্রী বিউটি বেগম মহিষ বাথান গ্রামের বিল্লাল মোল্লার মেয়ে। এ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

এ দম্পতির মেয়ে মিম জানান, গত ১৮ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে মায়ের চিৎকার তার শুনে ঘুম ভাঙে। এ সময় পাশের কক্ষে গিয়ে দেখে, তার বাবা চাপাতি দিয়ে তার মাকে কোপাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে সে চিৎকার শুরু করে। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তখন তার বাবা দৌড়ে পালিয়ে যান।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আবুল হোসেন বলেন, স্ত্রীকে হত্যার পর লতিফ পাগল বেশে কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশনে থাকতেন। ওই এলাকায় মাঝে মধ্যে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী হিসেবেও কাজ করতেন। কোনো ঘর বা বাসা ভাড়া নেননি তিনি। এ ঘটনার পর থেকেই আমরা তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছিলাম। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। শুক্রবার বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিউটির বাবা বিল্লাল মোল্লা জানান, লতিফ স্টক মালের (ধান, পাট, গম ও সরিষা) ব্যবসা করতো। পান থেকে চুন খসলেই লতিফ আমার মেয়েকে মারধর করতো। ১৮ জানুয়ারি রাতে লতিফ আমার মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরদিন আমি লতিফকে একমাত্র আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করি।

লতিফ গ্রেফতার হওয়াতে বিউটির বাবা বিল্লাল মোল্লা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। তবে মেয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement