২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফতুল্লায় ২ যুবককে অপহরণ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার

গ্রেফতার হওয়া মাজহারুল। - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফতুল্লার দাপায় মুক্তিপণের জন্য দুই যুবককে অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর অপহরণকারীদের কবল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারীচক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে অপহৃত ইয়াসীনের বড় ভাই কাজী মো: ইদ্রিস শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেফতারকৃত মাজহারুলসহ সাতজনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো দুই থেকে-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে টানা কয়েক ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ।

অপহরণকারীদের কবল থেকে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফতুল্লা মডেল থানার শিয়াচর সাউথ কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মৃত কাজী আবু তাহেরের ছেলে ইয়াসীন (৪৩) ও শিয়াচর হাজী বাড়ির শামিম মিয়ার ভাড়াটিয়ানল আব্দুল খালেক তালুকদারের ছেলে মনির (৩৬)।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফতুল্লা দাপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন চন্দ্রা বাড়ির ভেতরে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারী চক্রের সদস্য মাজহারুলকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা কামরুল ও তার অন্য সহযোগীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাল কস্টেপ পেঁচানো বেশ কিছু লাঠি, লোহার রড উদ্ধার করে।

গ্রেফতার মাজহারুল ইসলাম ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুর আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো: সাইদুর রহমানের ছেলে।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়,বাদির ভাই ইয়াসীন ও মনির বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শারজাহান রোলিং মিলস্থ বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিল। চা পান শেষে পায়ে হেটে বাসায় যাবার পথে শারজাহান রোলিং মিলস খা বাড়ির সামনে পৌঁছা মাত্র গ্রেফতারকৃত মাজহারুল, অপহরণকারীচক্রের মূলহোতা কামরুল (২২), আল আমিন (২৪), রাসেল (২১), মমিন (২১), তারেক (২৫), রবিনসহ (২৭), অজ্ঞাতনামা আরো দুই থেকে তিনজন দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ইয়াসীন ও মনিরকে পরিত্যক্ত চন্দ্রাবাড়ীর একটি টিনসেড ঘরের ভেতর নিয়ে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে মনিরের ফোন দিয়ে বাদির ভাই অপহৃত ইয়াসীনের ছেলে রায়হানের (১৬) কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে। মুক্তিপণের দাবিতে অভিযুক্তরা অপহৃতদের মারধর অব্যাহত রাখে। পরে সকালে বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, অভিযোগের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে দাপা পরিত্যক্ত চন্দ্রাবাড়ীর একটি টিনসেড ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের কবল থেকে হাত-পা বাঁধাবস্থায় উদ্ধার করা হয় অপহৃতদের। এ সময় গ্রেফতার করা হয় অপহরণকারীচক্রের এক সদস্যকে সেই সাথে উদ্ধার করা হয় লোহার রড, কস্টেপ পেঁচানো লাঠি। গ্রেফতার ব্যক্তিকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্য আসামিদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement