১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সোনারগাঁওয়ে আল আমিন হত্যা মামলায় বড় ভাইসহ ৪ জন আটক

সোনারগাঁওয়ে আল আমিন হত্যা মামলায় বড় ভাইসহ ৪ জন আটক। - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে যুবক আল আমিন হত্যা মামলায় আপন বড় ভাইসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব সদস্যরা। গত সোমবার রাতে তাদের আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা সংবাদ সম্মেলনে আটকের বিষয়টি জানান।

আটক ব্যক্তিরা হলেন সৈয়দ হোসেন সাগর, কবির হোসেন, নাসিমা বেগম ও হত্যার শিকার আল আমিনের বড় ভাই মো: ইউসুফ। তাদের সবার বাড়ি সোনারগাঁওয়ের সনমান্দি ইউনিয়নের সনমান্দি গ্রামে।

তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, গত ১৭ জানুয়ারি সোনারগাঁওয়ে হামছাদি এলাকা থেকে আল-আমিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত আল আমিনের মা অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাতে চারজনকে আটক করা হয়।

তিনি আরো জানান, আল-আমিন এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করত। এজন্য প্রায়ই পরিবারকে বিব্রত হতে হতো। সালিশ বৈঠকও হয়েছে। চুরি ছিনতাই থেকে বিরত রাখতে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। গত ৯ জানুয়ারি শিকল খুলে আল আমিন পালিয়ে যায়। পরে ফের চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটতে পারে ভেবে স্থানীয়রা ভিকটিমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, র‌্যাবের ছায়া তদন্তে আল আমিনের পরিবারের অনিহা এবং অসহযোগিতা পরিলক্ষিত হলে তার বড় ভাই ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি হত্যার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। তার বক্তব্য মতে, আল আমিন চুরি ও ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত থাকার কারণে তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে আল আমিনের চাচাত ভাই সৈয়দ হোসেন সাগর, প্রতিবেশী কদবির এবং জহির তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আল আমিনকে তার বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফসলের মাঠে নিয়ে সৈয়দ হোসেন সাগর, কবির ও জহির গামছা দিয়ে মুখ বেধে মারধর করছে বলে আল আমিনের মা জানতে পারেন। বিষয়টি মা, তার বড় ছেলে ইউসুফকে জানালে ইউসুফ ঘটনাস্থলে আসে এবং তার ভাইকে মারধর না করতে অনুরোধ করে। পরবর্তীতে ইউসুফ তার কর্মস্থল মোগড়াপাড়া পুরাতন সেবা ক্লিনিক চলে যান। রাতে ফিরে তিনি ঘটনাস্থলে পুনরায় যান এবং সেখানে তার মা, মামা শহীদুল্লাহ, সৈয়দ হোসেন সাগর, জহির ও কবিরকে দেখতে পায়। ইউসুফ তার মাকে তার ভাই আল-আমিনের কথা জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানতে পারেন আল-আমিনকে সাগর, কবির ও জহির মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জমির আইলের উপর ফেলে রেখেছে। ঘটনাস্থলে অভিযুক্তরা ইউসুফ, তার মা ও মামাকে মুখ খুললে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়।

তিনি বলেন, ১৭ জানুয়ারি আল-আমিনের লাশ উদ্ধারের পর মামলা করতে গেলে সাগর নিহত আল আমিনের পরিবারকে মামলা করতে নিষেধ করেন। এছাড়া তদন্তে কোনো প্রকার সহযোগিতা না করতেও নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। আটক ব্যক্তিদের সোনারগাঁও থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement