১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সাটুরিয়ায় ক্লিনিক থেকে শিশু চুরির দায়ে আটক ৪, যা ঘটেছিল!

মায়ের কোলে ফিরে এসেছে চুরি যাওয়া সেই নবজাতক - ছবি : নয়া দিগন্ত

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নবজাতক শিশু চুরির দায়ে নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নয়াডিঙ্গী এলাকার রিয়া ক্লিনিক থেকে সপ্তাহখানেক আগে শিশুটি চুরি হয়।

উদ্ধারের পর শিশুটিকে তার মায়ের বুকে দিয়ে সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

আটক ব্যাক্তিরা হচ্ছেন, রিয়া ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক আল মামুন, উপজেলার কামতা এলাকার ইমান আলী, তার স্ত্রী ময়না বেগম ও একই এলাকার ময়নার বোন সন্তানহীন শিরিন বেগম।

নবজাতকের মা শিউলী বেগম জানান, তিন মাসের শিশু গর্ভে রেখে মারা গেছেন তার স্বামী। এরই মধ্যে সাটুরিয়ার জান্না খালাসীপাড়া গ্রামের মো: নাজমুল হোসেনের সাথে শিউলীর পরিচয় ঘটে। গত ১৯ নভেম্বর প্রসব ব্যথা শুরু হলে নাজমুলকে স্বামী পরিচয় দিয়ে উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের নয়াডিঙ্গী রিয়া ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। শিউলী বেগমকে সার্বিক সহযোগিতা করেন ক্লিনিকের ম্যানেজার মো: আল মামুন। পরদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শিউলি বেগম পুত্র সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের এক ঘণ্টার মধ্যে কথিত স্বামী নাজমুলের সহযোগিতায় ইমান আলী, ময়না খাতুন ও সামছুল হক নবজাতক শিশুকে চুরি করে নিয়ে যান।

তিনি আরো জানান, এরপর ২১ নভেম্বর তিনি কিছুটা সুস্থ হলে তার সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। নবজাতক শিশুকে না পেয়ে শিউলি লোকজন নিয়ে নাজমুলের বাড়ি গেলে সেখান থেকে জানানো হয় ক্লিনিকের খরচ মেটানোর শর্তে বাচ্চা একজনকে দত্তক দেয়া হয়েছে। পরে তার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সাটুরিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফুকুরহাটি ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে নবজাতক শিশুকে উদ্ধার করে।

সাটুরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক সুকুমার বিশ্বাস বলেন, নবজাতক চুরির দায়ে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারদের রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement