২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বিদ্রোহী ও আ'লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাজেদা পুত্রের বিরুদ্ধে এককাট্টা

অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বিদ্রোহী ও আ'লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাজেদা পুত্রের বিরুদ্ধে এককাট্টা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর আসনে (ফরিদপুর-২) ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়েছেন সাজেদার ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবু চৌধুরী। আসনটিতে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন ১৭ জন। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তিনি শেষ পর্যন্ত থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার দাবি, লাবু চৌধুরী বাদে যারা মনোনয়ন চেয়েছিলেন সবাই তার সাথে আছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে গত মঙ্গলবার বিকেলে আসনটিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন দেয়া হয় সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবু চৌধুরীকে। তবে দলীয় এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি নগরকান্দা উপজেলা, সালথা উপজেলা এবং সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতারা।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে লাবু চৌধুরীর বিপরীতে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া।

জামাল হোসেন বলেন, আমি যদি বেঁচে থাকি, আমি নির্বাচন করব।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লাবু চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সে জায়গায় জামাল হোসেন মিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কথা বলায়, মনোনয়ন প্রত্যাশী বাকিরাও তাকে সমর্থন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল হোসেন বলেন, বাকিদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, আপনি নির্বাচন করেন। সবাই ঐক্যমতে পৌছেছে যে, আপনি দাঁড়ান। আপনার সাথে আমরা আছি।

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের রাজনীতি করি। আমি নৌকার বিরুদ্ধে না, শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও না। এই নগরকান্দা-সালথার নির্যাতিত জনগণকে বাঁচানোই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এটাই হলো আমার নির্বাচনে আসার উদ্দেশ্য। বিগত দিনে নগরকান্দা, সালথায় যে অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন চলেছে, আমার এলাকার লোকজন মিথ্যা মামলায় ঘর ছাড়া। সন্ত্রাসীদের নির্যাতন। জনগণকে বাঁচানোর স্বার্থে, জনগণের দাবির মুখে আমি নির্বাচন করছি।

লাবু চৌধুরী ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য কাউকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করলে নৌকার বিপরীতে নির্বাচন করতেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জামাল হোসেন বলেন, লাবু চৌধুরী ছাড়া অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচন করতাম না।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement