২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সহকারী প্রক্টরের বিরূপ আচরণ

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সহকারী প্রক্টরের বিরূপ আচরণ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনশনরত হাসনাতকে সংহতি জানাতে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুল রহমানের বিরূপ আচরণ ও গ্রেফতারের হুমকি দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বুধবার অনশনরত হাসনাতকে দেখতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সাথে এমন বিরূপ আচরণে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ভিডিওতে দেখা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের সেখান থেকে সরানোর জন্য চেষ্টা করেন প্রক্টর। এ সময় আঙুল উঁচু করে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘সহ্যের একটা সীমা আছে’, ‘এই তুই কে?’ ‘ভিসি কি, ভিসি স্যার বল’ ‘ভিসিকে স্যার বলা যায় না’ ইত্যাদি শব্দ বলতে থাকেন। পাশাপাশি বারবার প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্যকে ধাক্কা দিতে থাকেন শিক্ষার্থীদের আটক করার জন্য।

ড. মাহবুবুল রহমান বলেন, ‘তারা আমার সন্তানের মতো। হাসনাতের দাবিগুলো অবশ্যই যৌক্তিক। এখন তাকে নিয়ে যদি কেউ রাজনীতি করতে চায় তাহলে সেটা খারাপ ব্যাপার হয়ে যায়। এটা তো রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়। একটা ছেলে মারা যাচ্ছে আর তারা সেখানে ওটাকে ঘিরে রাজনীতি করছে। আমরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। একটা ছেলে মারা গেলে এর ক্ষতি শুধুমাত্র তার পরিবার বুঝতে পারবে।’

বিরূপ আচরণের শিকার শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার অপরাধ ছিল শুধু সব কথার পরে ‘স্যার’ কেন বলিনি। আমি ‘ভিসি’, ‘প্রক্টর’, ‘রেজিস্টার’ শব্দগুলো ব্যবহার করেছি। এজন্য তিনি আমার সাথে এমন করেছেন।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ও আসলে একটু বেশি আবেগী। আমি তাকে বলেছি, এভাবে কথা বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে আট দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন হাসনাত আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী। সে সময় তিনি ভিসিকে স্মারকলিপি ও দাবি পূরণে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। এরপর গতকাল ভিসির কাছ থেকে আশ্বাস না পেয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। তার অনশন ইতোমধ্যে ২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল