২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন - প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে এক কলেজছাত্রীকে সাড়ে ৬ মাস আটকে রেখে ধর্ষণের দায়ে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর সশ্রম কারাদ্ণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

এ মামলায় দণ্ডিত আসামি টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার রতনপুর (কাশেম বাজার) গ্রামের মৃত দরবেশ আলীর ছেলে বাদল মিয়া (৪০) বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস নয়া দিগন্তকে বলেন, একই এলাকার ভিকটিম কলেজছাত্রীর সাথে ফেসবুকে টাঙ্গাইল শহরের বিবেকানন্দ কলেজের ছাত্র লাবন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দণ্ডিত বাদল মিয়া ওই কলেজছাত্রীর চাচাত চাচা। ওই ছাত্রী প্রেমের বিষয়টি বাদল মিয়াকে জানালে তিনি তাকে তার প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে বিগত ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ভোরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজের একটি পরিত্যক্ত ঘরে সাড়ে ছয়মাস আটকে রেখে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। অধিকাংশ সময় তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দুর্বল করে রাখা হতো।

একই বছর ২৯ জুলাই ঘরের জানালার কাছে গিয়ে মাঠে খেলতে থাকা ছেলেদের দেখে চিৎকার করলে ছেলেরা বাড়িতে খবর দেয়। বাড়ির লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরের তালা ভেঙে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সখিপুর উজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই ওই বছর ৩১ জুলাই সখিপুর থানায় মামলা করেন। পুলিশ বাদলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তিনি ১৬৪ ধারায় নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। দীর্ঘদিন হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়ে গা ঢাকা দেন তিনি।

২০১৮ সালের ১ মে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা মিয়া। ঘটনাটি টাঙ্গাইলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।


আরো সংবাদ



premium cement