২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ। - ছবি : নয়া দিগন্ত

গাজীপুরে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা কারখানার পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে ইটপাটকেল ছুড়ে।

বুধবার গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এনটিকেসি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এনটিকেসি পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদবোনাস পরিশোধ না করেই ঈদুল ফিতরের আগে ২৮ এপ্রিল হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। ঈদের পর এখন পর্যন্ত কারখানাটি চালু করা কিংবা শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে ও তাদের পাওনাদির জন্য প্রায় প্রতিদিন কারখানার গেইটে আসে। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে যায়। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার আশ্বাস দিয়ে তারিখ নির্ধারণ করলেও শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি।

তারা জানান, সর্বশেষ বুধবার ছিল শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন (এপ্রিল মাস) ও ঈদ বোনাস পরিশোধের নির্ধারিত তারিখ। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এদিন সকালে শ্রমিকরা বন্ধ কারখানায় এসে অবস্থান নেয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর মালিক পক্ষের কাউকে না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ সময় তাদের পাওনা বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ এবং বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে পাশের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানা ও গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এতে ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মহাসড়কের উভয় দিকে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে অবরোধকারী শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং দুই রাউন্ড টিয়ারসেল ও তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনরতদের ছত্রভঙ্গ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহাসড়কে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

কারখানার জিএম বুলবুল আহমেদ জানান, মালিকপক্ষের সাথে কথা হয়েছে, আগামী ৫ জুন শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement