সোনারগাঁওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় সেই আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে
- সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ২০:২৮
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হওয়ার ঘটনায় পলাতক আসামি আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ৯ দিন পর বুধবার তাকে গ্রেফতারের পর নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদিউজ্জামানের আদালতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামি আলমগীরকে বিকেলে হাজির করা হলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সেই আসামি পালানোর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটিতে সভাপতি করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
আরো দুই সদস্য হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার খ-জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহরিয়ার হাসান, নারায়ণগঞ্জ ডিএসবি শাখার ডিআইও-২ মো. হুমায়ুন কবির খান।
কমিটিকে ৭ কার্যদিবসে প্রতিবেদন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের কাছে দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ১৭ জানুয়ারি সোমবার গোপন সূত্রে খবর ছিল টেকনাফ থেকে ৫০ হাজার ইয়াবার একটি চালান আসছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁওয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় তল্লাশি চৌকি বসায় পুলিশ। এসময় আসামির গাড়িকে সিগন্যাল দিলে সোনারগাঁও থানার এক কনস্টেবলকে আহত করে দ্রুত সেটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের আরেকটি টিম মোগড়াপাড়া এলাকায় ধাওয়া করে আসামি আলমগীর হোসেনকে গাড়ি ও ৪২ হাজার ইয়াবা বড়িসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আসামিকে নিয়ে তারা সরাসরি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চলে যায়। এ সময় আসামিই গাড়ি চালায়। এসপি অফিসে তাদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে নিয়ে থানায় রওনা দেন দুই এসআই ও এক এএসআই। তবে তাদের তিনজনের কেউই গাড়ি চালাতে পারেন না ফলে আসামিকে দিয়েই গাড়ি চালানো হয়। একপর্যায়ে সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পৌঁছালে গাড়ি থেকে কৌশলে লাফিয়ে পড়ে গাড়ি খাদে ফেলে দেন আলমগীর। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দুই এসআইকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া আরো এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন। আহত এএসআইকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতরা হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এস এম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁ থানায় কর্তরত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম জানান, আসামি আলমগীর হোসেনকে চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা