২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

শরীয়তপুরে আ'লীগের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪০

শরীয়তপুরে আ'লীগের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪০ - নয়া দিগন্ত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এত কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে। 

সদর উপজেলার চিতলিয়া গাজার বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শরীয়তপুর সদর সপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত পাঁচ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পালং মডেল থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাঁজার বাজার এলাকার রফিক ও আউয়ালদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এই ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে খবর পেয়ে পালং মডেল থানা ওসি আক্তার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনাটি রাজনৈতিক মারামারিতে রুপ নেয়। এরপর বুধবার ভোরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদারের সমর্থকরা স্থানীয় গাঁজার বাজারে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেরা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদারের সমর্থক মানিক হাওলাদার নেতৃত্বে শতাধিক লোক নিয়ে ককটেল  বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হারুন হাওলাদারের সমর্থদের উপর হামলা চালায় বলে জানায় আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার।

এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমদাদ চৌকিদার, যুবলীগ নেতা রাশেদ মাদবর, হাসেম মাদবর ও অপর পক্ষের নুরুল আমিন বেপারী এবং জাকির হাওলাদারকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থ থেকে বিস্ফোরিত ককটেল বোমার আলামত ও মানিক হাওলাদারের বাড়ী এলাকা থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়ে পুলিশ।
আহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ঘটনার পরে আমরা হাসপাতালে আসার সময় মানিক হাওলাদারের লোকজন আমাদেরকে জিম্মি করে রাখে হাসপাতালেও যেতে দেয়নি। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যাওয়ার পর সেখানেও ঢাকায় চাকুরীরত পুলিশ সদস্য জাফর আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, পারিবারিক বিরোধ রাজনৈতিক বিরোধে পরিনত করে সালাম হাওলাদার ও মানিক হাওলাদার ককটেল বোর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার লোকদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। এতে আমাদের ২৫-৩০ কর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে। গুরুতর আহত তিন জনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় মাললা করবো।

প্রতিপক্ষের উপর হামলার কথা অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমার চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন, হারুন হাওলাদারের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর হামলা করে কুপিয়ে পিটিয়ে ১৫/২০জনকে মারাত্মক আহত করেছে। বুধবার সকালে মানিক হাওলাদার ও সাত্তার হাওলাদার চিতলীয়া বাজারে গেলে তাদেরও লাঞ্ছিত করে হারুন হাওলাদারের সমর্থকরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এই বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে চিতলিয়ার গাজার বাজার এলাকায় পারিবারিক বিরোধ নিয়ে রফিক ও আউয়াল নামের দুই জনের মধ্যে মারামারি হয়েছে। বিষয়টি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য সেখানে উপস্থিত লোকদের বলে আসি। ভোরেই শুনতে পাই সেখানে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। ঘটনার পর মানিক হাওলাদারের এলাকা থেকে ৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল