২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গেস্টরুমে নির্যাতন বিরোধী আইন পাশের দাবিতে বিক্ষোভ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

আবরার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং গেস্টরুম নির্যাতন-বিরোধী আইন পাশের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিন ইয়ামিন মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, আজকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হওয়া আবরার ফাহাদ হত্যার রায় দেয়া হয়েছে। এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব তা কার্যকর করতে হবে। অমিতের মা বলেছিলেন, যদি তিনি জানতেন তার সন্তান ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তিনি তার সন্তানকে জুতাপেটা করতেন।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই খোঁজ খবর নিন। আপনার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে
যুক্ত হচ্ছে কি না জানার চেষ্টা করুন।

আবরার হত্যা মামলার রায়ের দ্রুত কর্যকর চেয়ে ইয়ামিন মোল্লা আরো বলেন, বিশ জনের ফাঁসির আদেশ দেয়া হলো অথচ মুল হোতা অমিত সাহার সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দেয়া হলো না। এটা কেন হলো না তা আমরা জানতে চাই। পাশাপাশি ছাত্রলীগের হাতে আরো যে সকল ছাত্র-শিক্ষক হত্যার শিকার হয়েছে সেগুলোরও বিচার করতে হবে।

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফুল ইসলাম বলেন, শুধুমাত্র সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার করলেই হবে না। একইসাথে বুয়েটের শেরো বাংলা হলের হাউস টিউটর, প্রভোস্টসহ দায়িত্বশীল সকলকেই দায়িত্বে অবহেলার দায়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুম-গেস্টরুম কালচার বিরোধী আইন পাশ করতে হবে।

সংগঠনের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য একদিকে বিজয়ের দিন অন্যদিকে শোকের। এই প্রথম গেস্টরুমে নির্যাতনের শাস্তি হিসেবে আদালত কোনো রায় দিল। কিন্তু শোকের দিন এ জন্য যে এখনো গেস্টরুমের নির্যাতন বন্ধ হয়ে যায়নি। শুধুমাত্র বিশ জনের বিচার করলে হবে না, যারা এখনো হলে হলে নির্যাতনের কারখানা তৈরি করে রেখেছে তাদেরকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এছাড়াও তিনি উচ্চ আদালতে এই রায়ের কোনো পরিবর্তন না হওয়ার আশা প্রকাশ করেন।


আরো সংবাদ



premium cement