২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সালথায় আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের সালথায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার দলীয় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দুই গ্রুপের মধ্যে একটি আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক। অপরপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক।

শনিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের সময় মারিজ সিকদার (৩০) নিহত হন।

এ ঘটনায় উভয় প্রার্থীর আরো অন্তত ২০ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ৫০টি বসতঘর। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক শর্টগানের ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, যদুনন্দী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গত ১৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুর বর মোল্যা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন গ্রাম্য মাতবর মো: রফিক মোল্যা ও নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর। রফিক মোল্যা ও টুকু ঠাকুর খারদিয়া এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা। উভয়ের বাড়িও একই গ্রামে।

দীর্ঘদিন ধরে সরকার দলের প্রার্থী রব মোল্যার সমর্থক আলমগীর মিয়া ও টুকু ঠাকুরের সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে উত্তেজনা শুরু হয়। সালথা থানা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে শুক্রবার রাতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, রাতেই বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সকালে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিতে ঘোষণা দেয় উভয় পক্ষের লোকজন।

শনিবার সকাল থেকে খারদিয়া এলাকায় উভয় প্রার্থীর হাজারো সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায় দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েকটি বসতঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

এতে মারিজ সিকদার, নাসির মোল্যা, রহিম মণ্ডল, রশিদ শেখ, সাকির মোল্যা ও টেপু শেখসহ উভয় প্রার্থীর অন্তত ২০ আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর মধ্যে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিকের সমর্থক মারিজ সিকদার নামে এক যুবক মারা যান। তিনি খারদিয়া গ্রামের সওরাফ সিকদারের ছেলে।

এদিকে মারিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে যাওয়া পর এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত নৌকার মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের অন্তত ৫০টি বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সুমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রচুর পরিমাণ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল কতগুলো ছোড়া হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন সাকিব, বললেন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই কারওয়ান বাজার থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

সকল