২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নৌকার বিপক্ষে বক্তব্য দিয়ে বিপাকে শাজাহান খান

শাজাহান খান - ছবি : সংগৃহীত

মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান৷ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তার দেয়া এক বক্তব্যের কারণেই এই সমালোচনা৷

মঙ্গলবার মাদারীপুরে একটি অনুষ্ঠানে শাজাহান খান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার পক্ষে বক্তব্য দিলে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের রোষে পড়েন তিনি৷

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৯ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় মাদারীপুরে সাত নেতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন৷ শাজাহান খান অন্যদের নিয়ে সভার উদ্যোগ নিলেও তা এখনো ফলপ্রসূ হয়নি৷

মঙ্গলবারের সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘তৃণমূল আওয়ামী লীগ এখন শক্তিশালী৷ তাই আপনি (শাজাহান খান) ভয় পাচ্ছেন? যদি নৌকা জিতে যায়, তাহলে বাহাদুরি থাকবে না৷ বাহাদুরি থামান! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রেখে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিতে হবে আপনাকে৷ তা না হলে আপনি যখন সংসদ নির্বাচনে নৌকা চাইবেন, তখন কী হবে সেটা একবারও কি চিন্তা করেছেন?'

শাহাবুদ্দিন মোল্লা আরো বলেন, ‘নৌকা মার্কা দিয়ে ছয় বার এমপি হয়ে আপনি (শাহাজান খান) তার বিরোধিতা করছেন! এর রহস্য কী? এটা আমাদের জানা দরকার৷'

তিনি বলেন, ‘নৌকার এমপি হয়ে গাড়ি-বাড়ি, ধন-দৌলত কম হয়নি আপনার৷ আপনার পরিবার ছাড়া আপনি কিছুই বোঝেন না৷ এখন দেখছেন নৌকা আপনার পরিবারের লোকজন আর আপনার দালালেরা পাবে না, তাই নৌকার বিরোধিতা শুরু করেছেন৷’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে সভায় বলেন, ‘আপনার লোকজন নৌকা পাবে না সেটা ভেবে আপনার কাছে নৌকা এখন দুর্গন্ধ হয়েছে৷’

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউসুফ চৌকিদার বলেন, তৃণমূলের ভোটে ও সমর্থনে তিনি বার বার নৌকায় নির্বাচিত এমপি, দুবারের মন্ত্রী৷ তার ভুল না শোধরালে তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা তাঁকে ক্ষমা করবেন না৷

শাজাহান খান জাসদ থেকে দীর্ঘদিন আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেন৷ মাদারীপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের আগে থেকেই তাকে নিয়ে সমালোচনা ছিল, যে কারণে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement