২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রং নম্বরে ফোন-প্রেম অতঃপর ধর্মান্তর : বিয়ের পর প্রতারণা!

রং নম্বরে ফোন-প্রেম অতঃপর ধর্মান্তর : বিয়ের পর প্রতারণা! - ছবি সংগৃহীত

রং নম্বরে ফোনে পরিচয়। দিনে দিনে মোবাইলে কথা। দু'জনের মধ্যে চেনাজানার পর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে তরুণ-তরুণী। ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয় বিয়ে। কিন্তু তারপরই ঘটে আসল ঘটনা। তরুণীর সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

প্রতারিত তরুণী রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবে এসে অভিযোগ করে বলেন, বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর গ্রামের বিরাট ঘরামির ছেলে বিজয় ঘরামির সাথে মোবাইল ফোনের রং নম্বরে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর একপর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ে করতে চাইলে তিনি ঢাকা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে থেকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর (রেজি নং-০২) মাগুরা সদর উপজেলার পিটিআইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মোঃ বশির খান নাম ধারণ করেন।

তরুণী বলেন, পরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড মুসলিম বিবাহ তালাক রেজিষ্ট্রার ও কাজীর কাছ থেকে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর দু'লাখ টাকা কাবিন মূলে বিবাহ করেন। বিয়ের কিছু দিন ভালোভাবে সংসার করলেও আমার কাছ থেকে পালিয়ে তার মা সলতা রানী ঘরামির মাগুরার বাসায় উঠে ও আমার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। আমি খোঁজ নিয়ে মাগুরা এসে অনেক কষ্টে তার ঠিকানা যোগাড় করার পর আমার সাথে আবারো ঢাকায় যান এবং ২০২১ সালের ২ জুন ঢাকা কোতয়ালীর ১৪ নম্বর কোর্ট হাউজ স্ট্রিটের মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রার ও কাজী মোঃ সাদেক উল্লাহ ভুঁইয়ার কাছ থেকে পুনরায় ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।

তিনি বলেন, বিয়ের পর বেশ কিছুদিন ভালোভাবে সংসার করে বিশ্বাস স্থাপন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে পালিয়েছেন। এখন ফোন করলে ফোন ধরে গালিগালাজ করেন। আমাকে চেনে না বলেও হুমকি ধমকি দিয়েছেন। সোমবার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের সমাধিনগর বিজয় ঘরামির নানার কাছে গেলে তিনি বিজয়ের নিকট নিয়ে যাবেন বলেও সারারাত বসিয়ে রেখে পালিয়ে যান। আমি নিরুপায় হয়ে পথে পথে ঘুরছি।

এ বিষয়ে বিজয় ঘরামির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে প্রকাশ করে তাকে বিয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে বলে প্রকাশ করে।


আরো সংবাদ



premium cement