২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় চুরি করতে দেখে ফেলায় শিশুকে হত্যা

- প্রতীকী ছবি

ঢাকার আশুলিয়ায় বাসের এক স্টাফের পকেট থেকে টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায় ওই বাসের চালকের শিশু ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর দুই বাসস্টাফের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হৃদয় নামের এক স্টাফকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পারভেজ নামের অপরজন পলাতক রয়েছে।

আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ভোরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটিকে রোববার মধ্যরাতের দিকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে।

নিহত ফেরদৌস (১১) শেরপুর সদর উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের রইচউদ্দিনের ছেলে। আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বালুর মাঠ এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো সে। তার বাবা ‘আশুলিয়া ক্ল্যাসিক্স’ নামের পরিবহনের বাসচালক। শিশুটিও ওই পরিবহনে কাজ করতো।

আটক হৃদয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে রাত ১২টার দিকে ‘আশুলিয়া ক্ল্যাসিক’ বাসটি বাইপাইলে পৌঁছায়। বাসের মধ্যেই কন্ডাক্টর হৃদয় ও হেলপার পারভেজ ঘুমিয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণ পর হৃদয়ের পকেট থেকে পারভেজ টাকা চুরি করলে তা দেখে ফেলে শিশু ফেরদৌস।

ঘুম থেকে উঠে পকেট থেকে ৫ শ’ টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি টের পায় হৃদয়। এ নিয়ে তাদের তিনজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পারভেজ টাকা নিয়েছে বলে জানিয়ে দেয় ফেরদৌস। পরে পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হৃদয়। এক পর্যায়ে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরদৌসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে ওই শিশুর লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রেখে হাইওয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন না পাওয়ায় বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে সাভার হাইওয়ে পুলিশ। এ সময় হৃদয়কে আটক করা গেলেও পারভেজ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement