২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

পাকুন্দিয়া আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, বিক্ষোভ ও সড়কে আগুন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে ফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার পাটুয়াভাঙা দরগা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

শনিবার সকালে ময়মনসিংহ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-ভৈরব সড়কের পুলেরঘাট বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এমপির সমর্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মো: সোহরাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা আওয়ামী লীগ। এ কমিটিকে প্রত্যাখান করে তা বাতিল চেয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আসছে বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদ সমর্থিত নেতাকর্মীরা।

এ দিকে শনিবার সকালে সোহরাব উদ্দিন দরগা বাজারসংলগ্ন তার নিজ বাসভবনে নবগঠিত কমিটির প্রথম কার্যনির্বাহী সভার আয়োজন করেন। এ সভাকে কেন্দ্র করে এমপি নূর মোহাম্মদের নেতাকর্মীরা ময়মনসিংহ-ভৈরব আঞ্চলিক সড়কের পুলেরঘাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এর আগে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় দরগা বাজারে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদ সমর্থিতদের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮-১০ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ব্যাপারে সাবেক এমপি ও নবগঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো: সোহরাব উদ্দিন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বর্তমান সংসদ সদস্যের লোকজন এসে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমার এলাকার লোকজন বাঁধা দিলে তারা সংঘর্ষ বাঁধায়। আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছি, তা বর্তমান সংসদ সদস্য ভালো চোখে দেখছেন না। আমিও এ উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলাম, সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার বাড়িতে এসে হামলা করেছে তারা, আমি এ ঘটনায় হতবাক।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সারোয়ার জাহান বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।


আরো সংবাদ



premium cement