নবাবগঞ্জে ছিনতাইকারি সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

ঢাকার নবাবগঞ্জে ছিনতারি সন্দেহে রুনা বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় রুনার সহযোগী পপি নামে আরো এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।

পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জহুরা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার বিকেলে উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়নের বলমন্তচর গ্রামে রুনা বেগম নামে এক নারীকে ছিনতাইকারি সন্দেহে ওই গ্রামের বাসিন্দা জহুরা বেগম তার স্বামী হযরত আলীসহ স্বজনরা গাছে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জহুরাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

অপরদিকে এ ঘটনায় পপি আক্তার (২৫) নামে আরো এক নারীকে আহত অবস্থায় ওই স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত রুনা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলায় ধর মন্ডল গ্রামের মো: দুলালের স্ত্রী।

আহত পপির স্বামী মো: নিজামের দাবি, পপি ও রুনা একই গ্রামের বাসিন্দা। রোববার সকালে কাজ খুঁজতে তারা দু’জনই নবাবগঞ্জে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলমন্তচর গ্রামের একাধীক ব্যক্তি বলেন, রোববার দুপুরে জহুরা বেগম ও তার স্বামী হযরত আলী করোনারভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে নবাবগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে তারা। এ সময় জহুরা গলায় থাকা স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে হাসপাতাল থেকে রুনা ও পপি নামে দুই নারীকে ছিনতাইকারি সন্দেহে আটক করে ইজিবাইকযোগে তাদের নিজ বাড়ি বলমন্তচর নিয়ে আসে।

পরে জহুরা, হযরত আলীসহ আরো বেশ কিছু লোক রুনা ও পপিকে কাঠাল গাছে বেঁধে হাতুড়ি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশ আঘাত করে। এ সময় রুনা মারা যায়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আহত অবস্থায় পপিকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পৌঁছায়। নিহত রুনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।