ধর্ষণের আসামি পুলিশ কনস্টেবল জনতার হাতে আটক

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি পেয়ারাবাগান এলাকার একটি বাড়ি থেকে যৌনপীড়নের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করে থানা পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। আটক মনিরুজ্জামান (২৩) সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার বিয়ারা চরপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) উত্তরায় কর্মরত আছেন। রোববার গ্রেফতার ওই পুলিশ কনস্টেবলকে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, তিন বছর আগে একই এলাকার এক তরুণীর সাথে মনিরুজ্জামানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে সিরাজগঞ্জ থেকে ওই তরুণী গাজীপুর মহানগরীর পেয়ারাবাগান এলাকায় মায়ের সাথে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। এরই মধ্যে মনিরুজ্জামান ফোনের মাধ্যমে ওই তরুণীর ঠিকানা সংগ্রহ করেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মনিরুজ্জামান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কৌশলে ওই তরুণীকে এক আত্মীয়ের বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বাসায় এসে ধর্ষণের বিষয়টি ওই তরুণী তার মাকে জানান।

পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ওই ঘটনায় মেয়েটি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাজীপুর আদাতলে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সময় ফোনে ওই মেয়েকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ওই মেয়ে মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানান। শনিবার মধ্যরাতে মনিরুজ্জামান পুনরায় মামলা তুলে নেয়ার জন্য ওই মেয়ের বাসায় এসে ভয়ভীতি দেখান ও হুমকি দেন। একপর্যায়ে ওই মেয়েকে ঝাপটে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এ সময় মেয়েটির ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মনিরুজ্জামানকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে কোনাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মনিরুজ্জামানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রোববার ভূক্তভোগী ওই মেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মামলা দায়ের করলে মনিরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।