১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার - ছবি : নয়া দিগন্ত

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে জেলা পরিষদের মার্কেটের একটি কক্ষ থেকে দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বিয়ারের খালি ক্যান ও তাসের বান্ডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রের খবরে রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে জেলা পরিষদের মার্কেটের দ্বিতীয়তলার একটি কক্ষ থেকে ৬টি রামদা, ১টি ছুরি, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ৫ বান্ডিল তাস ও বিয়ারের চারটি খালি ক্যান উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই মার্কেটের সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে। সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ মার্কেটের ওই কক্ষটি এখনো কারো নামে বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তবে বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সিদ্দিকী ওই কক্ষটি ব্যবহার করতেন। আর জব্দকৃত মোটরসাইকেলটি তার কর্মী হিসেবে পরিচিত আব্দুল্লাহ নামের এক যুবকের।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রান্ত সিদ্দিকী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধার মৌখিক অনুমতি নিয়ে এক সময় আমি ওই কক্ষটি ব্যবহার করতাম। সেখানে আমার সাথে ছাত্রলীগের আরো অনেকেই বসতো। তবে বছর দেড়েক আগেই আমি ওই ঘরটি ছেড়ে দিয়েছি।

প্রান্ত বলেন, গতরাতে আব্দুল্লাহ আমাকে ফোন দিয়ে জানায় যে পুলিশ তার মোটরসাইকেলটির লক ভেঙ্গে থানায় নিয়ে গেছে এবং ওই কক্ষে অভিযান চালিয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশীদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, যেই কক্ষ থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে সেটি অনেক আগে থেকেই পরিত্যক্ত। পাঁচ মাস আগে সে ওই মার্কেটের সামনেই ওদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সিদ্দিকী এন্টারপ্রাইজের নামে নতুন একটি অফিস নিয়েছে। এ ঘটনার সাথে প্রান্ত সিদ্দিকীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্ত করা গেলে এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মো: মুজিবুর রহমান বলেন, বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পরে নির্ধারিত সেলামী না পাওয়ায় ওই মার্কেটের কিছু কক্ষ এখনো কাউকে বরাদ্দ দেয়া যায়নি। তবে কেউ যদি রাতের আঁধারে বা অবৈধভাবে ঘরের দখল নেয় তাহলে জেলা পরিষদের বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনগত যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তা নেয়া হবে। ওই কক্ষটির অবৈধ দখলে নেয়ার ঘটনার সাথে জেলা পরিষদের কোনো সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল