২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আবারো ভাঙ্গন

হুমকির মুখে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ও শত শত বসতবাড়ি

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন - ছবি : নয়া দিগন্ত

পদ্মা নদীর তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে শুক্রবার সকাল থেকে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।

ভাঙনে নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকির মধ্যে রয়েছে ফেরি ঘাট ও শত শত বসত বাড়ি। ভাঙন আতঙ্কে বহু পরিবার তাদের ঘরবাড়ি নদী পাড় থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন প্রতিরোধে অনেক আকুতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

শুক্রবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ১ নম্বর ফেরিঘাটের মাঝামাঝি মজিদ শেখের পাড়া এলাকার ৩০মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সকাল সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হওয়া ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গনে দৌলতদিয়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য বাবু মোল্লা, দেলোয়ার প্রামানিক ও মোকসেদ মুন্সীর বসত ভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে আবুল মন্ডল, মিলন শেখ, হারুন মুন্সি, টোকন মন্ডল, উজ্জল মন্ডল, রেজাউল, চান্দু মোল্লাসহ বেশ কয়েক জন তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। তারা সবাই বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।

ক্ষোভের সাথে ভুক্তভোগী কয়েকজন বলেন, ভাঙন রোধে কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ। কয়েক দিন আগে এখানে প্রথম দফার ভাঙ্গনে অর্ধশত পরিবার ঘরছাড়া হয়। এরপর সেখানে প্রায় কোটি টাকার প্রকল্পে চারটি প্যাকেজে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে গত বুধবার থেকে (২৮জুলাই) তাও বন্ধ হয়ে যায়।

তারা বলেন, আগে থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কাজ না করায় এখন তার মাশুল দিতে হচ্ছে আমাদের মতো অসহায়দের। আর এখন ফায়দা লুটছে ঠিকাদারসহ কিছু মানুষ।

চান্দু মোল্লা, হানিফ মন্ডলসহ কয়েকজন বলেন, কয়েক বছর আগে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ছিল পদ্মা নদী। তখন থেকেই শুনে আসছি ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। কিন্তু বাস্তবে ভাঙন শুরু হলে কিছু বালুর বস্তা ফেলা ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয়নি।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা মুন্সি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আজিজুল হক খান মামুন ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: রফিকুল ইসলাম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা মুন্সি বলেন, আমরা বহু আগে থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই দৌলতদিয়া ঘাট এবং সংলগ্ন এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। চলমান ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে করা হচ্ছে না। এর মাশুল দিচ্ছে এলাকার অসহায় সাধারণ মানুষ।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (গোয়ালন্দ) ইকবাল সরদার দাবি করেন, তারা কাজ বন্ধ রাখেননি। তবে মাঝে দু’দিন লেবার সংখ্যা একটু কম ছিল। ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ চলমান আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
অবৈধ সম্পদ : এস কে সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ জুন টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে চাপম্যান-আফ্রিদির উন্নতি থানচিতে ট্রাকে দুর্বৃত্তদের গুলি চীনের আনহুই প্রদেশের সাথে ডিএনসিসি’র সমঝোতা স্মারক সই আ’লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৮ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য

সকল