শিমুলিয়া-বাঙলাবাজার ঘাটে ফেরিতে যাত্রীদের ঢল
- মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
- ৩০ জুলাই ২০২১, ১৪:৫৬
কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শুক্রবারেও মাওয়া শিমুলিয়া-বাঙলাবাজার ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শিমুলিয়া-বাঙলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে শুক্রবারও যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের চাপ পরেছে। আট দিন ধরে চলা বিধি নিষেধের প্রতি দিনই দেখা গেছে বিধিভঙ্গের একইচিত্র। শুক্রবার তা ছিলো আরো প্রকট।
সকাল হতে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরি দিয়ে বৈরি আবহওয়ার মধ্যেও পার হয়েছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগতগাড়ি।
শুধুমাত্র দেখা গেছে, জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম। ঘাট অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। বাঙলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকা মুখী যাত্রীদের চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে।
এদিকে ফেরিতে যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষিত। শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছা ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে যার যার গন্তব্যে। এতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই তিনগুন বেশি ভাড়া। যাত্রীরা বলছেন, জীবিকার জন্য কর্মস্থলে আর নানা রকম প্রয়োজনের তাগিদেই ছুটছেন তারা।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ, কেউ বিদেশ যাবে, কেউ টিকা নেবে, কারো পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, কেউ সিম কোম্পানির নেটওয়ার্ক বিভাগে কাজ করছে। কিছু লোক বলছে তাদের অফিস থেকে কল আসছে তাই তারা যাচ্ছেন। ফেরির বিষয়ে ফেরি কর্তৃপক্ষ দেখছে। যদি এমনি কেউ ঘুরতে আসে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে, অযৌক্তিক কারণে নদী পারের চেষ্টা করলে তাদের পুশ ব্যাক করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটে ছোটবড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। শুধু জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাঙলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আগত প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে পণ্য বোঝাই ট্রাকের সংখ্যায় বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা