২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও মানুষের ঢল

- ছবি- সংগৃহীত

দেশের মানুষের কর্মক্ষেত্রের এক বড় নগরী রাজধানী ঢাকা। কাজে যোগ দিতে হবে, যেতে হবে ঢাকায়। তাই তো জীবিকার তাড়নায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে লকডাউনকে আর বৈরী আবহাওয়াকেও উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টির মধ্যে পার হচ্ছেন পদ্মা নদী।

ঈদুল আজহার পর কঠোর নিষিধ শুরু হয় ২৩ জুলাই সকাল থেকে। বুধবার পর্যন্ত দৌলতদিয়া সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় রয়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। ফেরিতে পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা কম। তবে সেই জায়গা দখল করেছে সাধারণ যাত্রীরা। লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ। ফলে পদ্মা পার হওয়ার একমাত্র উপায় এখন ফেরি। এ কারণে ফেরিতেই যাত্রীদের ঢল নেমেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার খবরে চাকরি বাঁচাতে ছুটছেন কর্মজীবীরা।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তাদের যাত্রা থেমে নেই। পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়ায় ছোট যানবাহনে করে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছান তারা। এখানে ফেরিতে করে পদ্মা পার হতে হচ্ছে এই যাত্রীদের।

এদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বৈরী আবহাওয়া শুরু হয়। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাস বইতে থাকে সারাদিন। এই আবহাওয়ার মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

কুষ্টিয়া থেকে পরিবারসহ আসা এক যাত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে। তারপরও ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কেন যাচ্ছেন ঢাকায়? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেটের ক্ষুধার জন্য যাচ্ছি। বাড়িতে এই কয়দিন তো ছিলাম। কাজ না করলে খাবার আসবে কোথা থেকে? করোনার চেয়েও পেটের ক্ষুধা বড়। কাজে যেতে না পারলে হয়তো চাকরিও থাকবে না।

ঝিনাইদাহ থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, ‘ত্রাণের চালে কয়দিন চলে? ইনকাম বন্ধ। অথচ খাওনের মুখ তো বন্ধ হয় না। এইভাবে আর কয়দিন চলা যায়?'

ঘাট সূত্র জানায়, সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীরা ঘাটে আসছে। সকাল থেকে থেমে ঝড়-বৃষ্টি থাকায় ফেরিতে করে সব যাত্রীরা পার হচ্ছে।

ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘যাত্রী পারাপার ফেরিতে পুরোপুরি বন্ধ। এরপরও যাত্রীরা জরুরি কাজের বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ বলছে অসুস্থ। কেউ বলছে রোগী দেখতে যাবে। কেউবা বলছেন, চাকরি বাঁচাতে হলে ঢাকায় যেতেই হবে। আমরা নিষেধ করলেও তারা ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। তাদেরকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: জামাল হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার সাথে ঝড়োবৃষ্টি হওয়ায় ফেরিতে যানবাহন কম। তাই সকাল থেকে যাত্রীরাই পার হচ্ছে। তবে দুই-তিনটি জরুরি যানবাহন না হলে ফেরি ছাড়া হচ্ছ না।


আরো সংবাদ



premium cement