২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের ভিড়

শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে তোলা ছবি - : নয়া দিগন্ত

কঠোর লকডাউনে ঈদ-পরবর্তী দৌলতদিয়া ঘাটের চিরচেনা রূপ বদলে গেছে। অনেকটা ফাঁকা অবস্থায় ফেরিগুলো পন্টুনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে যানবাহনের জন্য। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিভিন্ন উপায়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসা সাধারণ যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাট সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।

জানা যায়, কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার ভোর থেকেই গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ সকল যাত্রী অটোরিক্সা, থ্রিহুইলাসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভেঙে ভেঙে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছাচ্ছে। অনেক শ্রমজীবি মানুষকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে ফেরি ঘাটে পৌঁছে। চলাচলকারী ফেরিগুলো ঘাটে আসা যানবাহন এবং বিপাকে পড়ে আসা মানুষ নিয়েই ঘাট ছেড়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা। একেবারে বিপাকে পড়া মানুষজন বৃষ্টির মধ্যেই বাইরে বের হয়েছে। কেউ পায়ে হেঁটে, আবার কেউ মাথায় পলিথিন মুড়ে বা রিক্সায় করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামছে। আবার অনেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যাটারি-চালিত অটোরিক্সা বা মাহেন্দ্র রিজার্ভ করে ঘাটে নামছে। তারা কোনো বাধার মুখোমুখী না হয়েই সরাসরি ফেরিতে উঠছে। ফেরিতে ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি, মোটরসাইকেল আর আগত যাত্রীদের নিয়েই মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া কিছু খেটে খাওয়া মানুষজন ফাঁকা মহাসড়ক দিয়ে পায়ে হেঁটে ফেরি ঘাটের দিকে যাচ্ছে।

ফরিদপুর থেকে অটোরিক্সায় দৌলতদিয়া ঘাটে আসা যাত্রী শাহিদা আক্তার বলেন, তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ঈদের পর আগামীকাল রোববার থেকে অফিস খোলা। কঠোর লকডাউনের মধ্যে ঢাকা যাওয়া তো খুবই কষ্টকর। তারপরও অফিসে যেতে হবে। তা না হলে তো চাকরি থাকবে না। তাই আজই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটি অটোরিক্সা রিজার্ভ করে ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঘাটে এসেছি। এখন নদী পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া থেকে যেকোনো উপায়ে হোক ঢাকা পৌছতে হবে। না হলে তো বসদের অনেক কথা শুনতে হবে।

সকাল ৯টার দিকে পাটুরিয়া থেকে আসা ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্র মল্লিকা দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ঘাটে এসে ভিড়ে। এ সময় ফেরিতে কয়েকটি ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যানবাহন এবং বেশ কয়েকজন যাত্রী দেখা যায়। ফেরিটি প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষার পর দৌলতদিয়া ঘাট থেকে প্রায় ২০০ যাত্রী, কয়েকটি মোটরসাইকেল ও চারটি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, উভয় ঘাটে ছোট-বড় মিলেই মোট ১৫টি ফেরি রয়েছে। যখন যে ঘাট থেকে যানবাহন নিয়ে ছাড়া প্রয়োজন সেভাবেই ছেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া একটি মাঝারি আকারের ভিআইপি ফেরি রাখা হয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এলে তাদেরকে পারাপার করা হবে। তবে কঠোর বিধিনিষিধের কারণে ঘাটে আসা যানবাহন সরাসরি ফেরিতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement