বিচার করতে গিয়ে মেয়রের ছেলের হাতে নারী কাউন্সিলর নির্যাতিত
- মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা
- ১৩ জুন ২০২১, ১৭:১১
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিকের নেতৃত্বে এক নারী কাউন্সিলর হাসিনা পারভীনকে স্বপরিবারে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন আহম্মেদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মিরকাদিম পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর হাসিনা পারভীন। এই সংবাদ সম্মেলনে রুজিনা ইয়াসমিন, সেলিনা ইসলামসহ তার কয়েকজন প্রতিবেশী উপস্থিতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর হাসিনা পারভিন বলেন, গত ৭ জুন রাত ৮টার দিকে পৌরসভার উত্তর রামগোপালপুর এলাকায় ছেলে ও মেয়ের সালিশে সুমন হাজির বাসায় যাই। এই সালিশে আমি ছেলের পক্ষ নিয়ে ন্যায় কথা বললে মেয়ের পক্ষের রন্টি উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে সালিশ থেকে চলে আসার সময় রন্টি পেছন থেকে ও মেয়রের ছেলে মানিক সামনে থেকে আমাকে মারধর করে পরনের বোরকা ছিড়ে ফেলে। তখন আমার দুই ছেলে ও স্বামী আমাকে রক্ষা করতে গেলে রন্টি ও মানিকের পক্ষের লিটন (২৬), মাঈনউদ্দিন (৩৬), নিভির (২৩), রিংকু, মেয়র বড় ছেলে পাপ্পু একত্রিত হয়ে তাদেরকে মারধর করে। এ সময় মাঈনউদ্দিন আমার গলার ১২ আনা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরে আমাদের চিৎকারে রামগোপালপুর সমাজের সভাপতি মো: নাজির উদ্দিন আমাদের রক্ষা করেন। পরে তারা এই ব্যাপারে মামলা করলে হত্যার হুমকি দেয়।
তিনি আরো বলেন, ন্যায় কথা বলায় নির্যাতনের শিকার হতে হলো। স্থানীয়রা বিচারের ভার নেয়ায় আমি বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম। তবে কেউ আমাকে সাহায্য করে নাই। আমি এর বিচার চাই।
এদিকে অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করে মেয়র আব্দুস সালামের ছেলে মানিক জানান, সেদিন বিচারের সময় হাসিনা পারভীনের ছেলে রাজু মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারা এসে পঞ্চায়তের ওপর উল্টোপাল্টা কথা বলছিল। আমার ভাই পাপ্পু সেখানে ছিল না। পঞ্চায়েতের সাথে তাদের গোলমালের খবর শুনে আমি সেখানে যাই। এ সময় রাজু মাতাল অবস্থায় আমাকে চিনতে না পেরে গায়ে হাত তোলে, ভিডিও আছে আমার কাছে। উপস্থিত লোকজন তাকে সরিয়ে নেয়। তার বড় ভাই আমার কাছে এ বিষয়ে মাফও চেয়েছে। এখন তারা আমার বাবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইন্ধনে আমাদের হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।
মহিলা কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় মিরকাদিম পৌরসভার মেয়রের বড় ছেলে পাপ্পু বলেন, মহিলা কাউন্সিলর ছোট ছেলে রাজু আহম্মেদ সালিশের মধ্যে আমার ছোট ভাই মানিকের কলার ধরেছে। এর ভিডিও ফুটেজও আমার কাছে আছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা