প্রেমের পর বিয়ের প্রলোভন, তুলে নিয়ে টানা দেড় মাস ধর্ষণ

রাজধানী ঢাকা থেকে এক তরুণীকে (২২) তুলে এনে টানা দেড় মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। একইসাথে তাকে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ ফরিদপুর জেলা শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকার টাটা কোম্পানির ডিলার ও ‘বিসমিল্লাহ মটরর্স’র মালিক রুহুল আমিনকে (৩১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পপতিবার ওই তরুণী রুহুল আমিনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সাথে রুহুল আমিনের পরিচয় হয়। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মাঝে তার বিয়ে ঠিক হয়। গত ১৮ এপ্রিল তিনি বিয়ের সাজ সাজতে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকার একটি বিউটি পার্লারে যাওয়ার সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুহুল আমিন তাকে তুলে নিয়ে ঢাকার অজ্ঞাত বাসায় ২২ এপ্রিল পর্যন্ত আটকে রাখেন। পরবর্তীকালে তাকে রাজবাড়ী জেলা শহরের রাবেয়া টাওয়ারের অষ্টম তলায় একটি বাসায় নিয়ে রাখা হয়। সেখানে তাকে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন রুহুল আমিন। তিনি বিয়ের
জন্য চাপ দিলে তাকে মারপিট করাসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন রুহুল আমিন।

এর মধ্যে ৮ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুহুল আমিন তাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করেন। তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিষয়টি রাজবাড়ী থানা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তিনি রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার থানা হাজতে থাকা রুহুল আমিন জানিয়েছেন, তিনি আগে থেকেই বিবাহিত। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, মামলা দায়েরের পর আসামি রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।