২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভাড়ায় দিশেহারা যাত্রীরা, ৮০ টাকার ভাড়া এখন ১১ শ’

ভাড়ায় দিশেহারা যাত্রীরা, ৮০ টাকার ভাড়া এখন ১১ শ’ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি মাত্র ৮০ টাকা দিয়ে। আর আজকে আইলাম ১১ শ’ টাকা দিয়ে। মাঝখানে কয়েক কিলোমিটার হাঁটলাম, তিন থেকে চারবার গাড়ি পরিবর্তন করা লেগেছে। আমাগো দুঃখ-কষ্ট কেউ দেখে না। আমি একজন মাঝারি ব্যবসায়ী, করোনায় আমাগো ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষতি হইছে। তখন কেউ সাহায্য করলো না! এখন মা-বউ, বাপ-ভাইয়ের সাথে ঈদ করতে যামু, এখানেই যত নিয়ম। এত নিয়মে আমাদের ভোগান্তি বাড়ছে, আমাগো বেশি ভাড়া দিয়ে আসতে হলো।’ রাজধানীর কর্মস্থল থেকে শরীয়তপুরে বাড়ি যেতে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে ভোগান্তি আর বেশি ভাড়ার দেয়ার কথা এভাবেই জানাচ্ছিলেন জব্বার সরদার নামের এক যাত্রী।

শুধু জব্বার সরদার নন, শিমুলিয়া ঘাটে আসা প্রায় সবারই ছিল একই রকমে কথা। লকডাউনে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশনা থাকলেও পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাড়ির পথে মাইলের পর মাইল হেঁটে আর পরিবহনে বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে প্রায় সবাইকে।

ইসমাইল হোসেন নামের এক কলেজছাত্র জানান, ‘মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর থেকে সিএনজিতে সব সময় এক শ’ টাকা দিয়ে আসলাম। আজকা তিন শ’ টাকা। গাড়ি চালকরা বিভিন্ন অজুহাত দেখান। বাড়িতে তো যেতে হবে। তাই কী আর করার!’

নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত আবুল কালাম বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্টস ছয় দিন ছুটি দিছে। থাকার জায়গা নাই তাই এখন বাড়িতে গিয়ে টাইম মতো ফিরে আসতে হবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে মাওয়া আসতে আমার এমনি দুই শ’ টাকার মতো লাগে। আজকে আমার সাত থেকে আট শ’ টাকা খরচ হইয়া গেছে। চারবার গাড়ি পাল্টাইছি। জানি লকডাউন, তবে একে তো থাকার জায়গা নাই, আরেক হইলো বছরের একটা দিন, বাড়িতে না গেলে কেমনে হয়।’

শরীফ নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘রাস্তায় চেকপোস্টে গাড়ি আটকানোর কারণে দীর্ঘ জ্যাম। অনেক পথ ঘুরে ঘুরে আসছি। গাড়িওয়ালা যার কাছ থেকে যা পারছে নিচ্ছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন সিএনজি, মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, ‘ঈদের আগে ভাড়া বেশিই। আমরা তো রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়া আসি। অনেক রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। পুলিশ আটকাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বইসা থাকা লাগে। কষ্ট করে গাড়ি চালাই, কয়েকটা টাকা কামানোর জন্যইতো।’

ফেরদৌস নামের এক সিএনজিচালক বলেন, ‘মানুষ তো সব ঘাটে আসতাছে, কেউতো ঢাকায় যায় না। ঢাকায় তো আমাদের ফাঁকা গাড়ি নিয়ে গিয়ে তারপর যাত্রী নিয়ে আসতে হয়। ফাঁকা যে যাই এটার টাকা কে দিবো?’

ইমরান নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, ‘রাস্তায় অনেক খরচ, তাই ভাড়া বেশি।’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার লকডাউন দিয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। যাত্রীরা নিয়ম না মেনে ঘাটে আসছেন, বাড়ি ফিরছেন, আমাদের কী করার আছে!

এ দিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে ছিল যাত্রীদের ঢল। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারে যাওয়া প্রতিটি ফেরিতে ছিল যাত্রীদের গাদাগাদি। আর দিনভর যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরি সচল ছিল বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। বুধবারও ছিল এর চেয়েও বেশি মানুষের জনস্রোত। কোনোভাবেই কমছে না।


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল