১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যাত্রী পারাপার চলছে ১৬টি ফেরিতে, কমছে না জনস্রোত

যাত্রী পারাপার চলছে ১৬টি ফেরিতে, কমছে না জনস্রোত - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঈদ যাত্রার শেষ দিন আজ। তবুও জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে মাওয়া শিমুলিয়া ঘাট। বুধবার রাতে কিছুটা কমেছিল জনস্রোত। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঈলাশা হোটেল থেকে মাওয়া ঘাট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। অপেক্ষা ফেরির। রাত পোহালেই ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার শেষ দিনেও দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটে। লকডাউনে সরকারের দেয়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সকাল থেকে হাজার হাজার যাত্রী ঈলিশা হোটেল থেকে পায়ে হেঁটে ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছেন। পরিবহন পারাপারের ঘোষণায় দ্বিগুণ বেড়েছে ব্যক্তিগত পরিবহন।

মাওয়া শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ঘাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাড়ানো হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। পাশাপাশি কাজ করছে বিজিবি ও আনসার।

অন্য দিকে যাত্রী আর যানবাহন পারাপারে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে প্রবেশের সবগুলো পথেই জনস্রোত। দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন যাত্রীরা। তবে গত কয়েক দিনের চেয়ে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রী-যানবাহনকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে উঠানো হচ্ছে। এতে পল্টুনে জটলা ও ভোগান্তি কমে এসেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ১৬টি ফেরি দিয়ে রাতভর পারাপার করেছি। কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধির কিছুই মানা হচ্ছে না।’ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে। একারণে ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে ঘাটে। জরুরি যানের সাথে যাত্রীরা সহজেই পারাপার হতে পারছেন। ছোট বড় মিলিয়ে ৪০০ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement