২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বালিয়াকান্দিতে গ্রেফতারের ভয়ে পুরুষশূন্য গ্রাম, ঈদের জামাত নিয়ে অনিশ্চয়তা

বালিয়াকান্দিতে গ্রেফতারের ভয়ে পুরুষশূন্য গ্রাম, ঈদের জামাত নিয়ে অনিশ্চয়তা - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের চষাবিলা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই নেতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় হামলা, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়। লকডাউনের কারণে মামলায় জামিন নিতে পারেনি কেউ। ফলে মামলার আসামি হয়ে পুরুষশূন্য গ্রামটি। এ দিকে আর এক দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। ফলে গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। ঈদের জামাত নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক বিশ্বাস ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হাই মন্ডল এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলামের গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজনু মোল্যা, লোকমান জোয়াদ্দার, ইউসুফ বিশ্বাস থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাজবাড়ীর চার নম্বর আমলি আদালতে মো: আজিজল মন্ডল গত ২ মে ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি।

রাজবাড়ী আদালতে দায়েরকৃত মামলার বাদি মো: আজিজল মন্ডল বলেন, দিন থেকে চার দিন আগেই আমার মামলাটি থানায় এলেও রেকর্ড হয়নি।

এ দিকে পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের ও পুলিশি অভিযানে চষাবিলা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে ঈদের জামাত নিয়ে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, হামলা ভাংচুরের ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের কোনো মামলা থানায় আসেনি। যদি আসে তাহলে রেকর্ড হবে। তবে এজাহার নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement