১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দিনে ফেরি বন্ধ, দৌলতদিয়ায় জরুরি ফেরিতে কয়েক হাজার যাত্রী পার

দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে জরুরি ফেরি পার হয়েছে কয়েক হাজার যাত্রী। - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিআইডব্লিউটিসির হঠাৎ ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণায় ভোগান্তিতে পড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পারাপার হওয়া ও যানবাহন চালক ও যাত্রীরা। রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসসহ তিন শতাধিক যানবাহন।

তবে দুপুরের পরে ৩/৪টি ফেরিতে পার হয়েছে কয়েক হাজার যাত্রী।

সরেজমিনে শনিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুন ও ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কে অপেক্ষারত যাত্রী ও যানবাহনের এমন চিত্র দেখা যায়।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেখ আলম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার সকাল ৬টা থেকে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। দিনে কোনো যানবাহন বা যাত্রী পারাপার করা হবে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স একসাথে ৮-১০টি থাকলে ছোট ফেরি দিয়ে সেটি পার করা হবে।

এছাড়া রাতে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার চালু থাকবে। ফেরি বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের কিছুটা চাপ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

তবে ঈদের এখনো কয়েকদিন বাকি থাকলেও নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ঘরে ফেরায় ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে।

শনিবার সকাল থেকেই পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।

তবে শুক্রবার রাতে আসা অসংখ্য যাত্রী পাটুরিয়া ঘাটের দুটি ফেরিতে উঠে বসে থাকে। কিন্তু দিনের বেলায় ফেরি না ছাড়ায় ফেরিতে উঠে বসে থাকা যাত্রীরা বিপাকে পড়ে। তবে দুপুরের পরে কয়েকটি বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি ফেরিতে উঠিয়ে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়ার উদ্দেশে আসে।

এসময় পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে ব্যক্তিগত ও ভাড়ায়চালিত ছোট গাড়ি, মোটরসাইকেল ও যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি কোনো মাস্ক।

এদিকে জেলার অভ্যন্তরে গণপরিহন চলাচল শুরু হলেও ভোগান্তি এড়াতে দূর-দূরান্তের যাত্রীরা দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মাহেন্দ্রা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ঘরমুখো যাত্রী আনোয়ার হোসেন, রিপন শেখ, তিজারত, বসিরসহ অনেকে জানান, ঝুঁকি আছে জেনেও তারা প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছেন। কিন্তু পথে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাসে উঠে জেলার শেষ সীমানায় নামতে হচ্ছে। দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।

তারা আরো বলেন, অনেকে ব্যক্তিগতভাবে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছে। সেখানে প্রতিটি সিটে বহন করা হচ্ছে যাত্রী।

দূরপাল্লার বাস চলাচল করলে যেমন ভোগান্তি কমতো, তেমনি স্বাস্থ্যবিধিও অনেকটা নিশ্চিত হতো বলে মনে করেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক মো: খোরশেদ আলম বলেন, এ রুটে ছয়টি ফেরি দিয়ে শনিবার থেকে রাতে যাত্রী ও পন্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে। কিন্তু ছোট যানবাহন ও ঘুরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে ঈদের অনেক আগে থেকেই। এতে ছোট গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা সমস্যা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ঈদে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ সমালাতে এ রুটের ১৬টি ফেরির সবগুলোই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ফেরির সংখ্যা আরো বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement