২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কঠোর লকডাউন : দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও ছোট গাড়ির সারি

কঠোর লকডাউন : দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও ছোট গাড়ির সারি - ছবি : নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সারাদেশেই গণপরিবহন বন্ধ। কিন্তু পণ্যবাহী ট্রাক ও কভার্ডভ্যান শুধু রাতে ফেরি পার হতে পারবে।

অপর দিকে প্রাইভেটকারের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এসব গাড়ি ভাড়ায় ও ব্যক্তিগতভাবে চলাচল বেড়েছে আগের চেয়ে তিনগুন। আর এসব ছোট গাড়ি রাতে ট্রাকের সাথে ও দিনে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সাথে বিশেষ সুবিধায় ফেরি পার হচ্ছে প্রতিদিন। ফলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাধারণ যাত্রী ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ দিয়ে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার যানবাহন ও হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে।

লকডাউনে ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি ও প্রশাসনের অনুমতিতে জরুরিভাবে কোনো যানবাহন ব্যতিত অন্য যানবাহন ও যাত্রী পারাপার বন্ধের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও দৌলতদিয়া দিয়ে পারাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত অসংখ্য ছোট গাড়ি ও যাত্রী।

এ সময় ফেরিতে সিরিয়াল না মেনে পুলিশের সামনেই গাদাগাদি করে উঠতে ও নামতে দেখা গেছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও যাত্রীদের। বালাই নেই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির।

শুক্রবার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। ৩০ মিনিটের নৌপথ পারাপারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাদের। শুক্রবার হওয়াতে প্রাইভেট গাড়ির চাপ সকাল থেকেই বেশি। পরিবহন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে ঘাটে এসে ফেরি বা ট্রলারে করে নদী পার হচ্ছেন।

অন্য দিকে ফেরি পারাপারে ২৫ টাকার টিকেট ৩০ টাকা নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। অনেকেই ফেরির নাগাল না পেয়ে ট্রলারে ৫০ টাকা দিয়ে নদী পার হতে দেখা গেছে। প্রচণ্ড রোদ আর তাপদাহে অনেকেই হাঁপিয়ে ওঠেছেন।

ছগির আহমেদ নামের এক প্রাইভেটকারচালক বলেন, মালিকের ফ্যামিলি নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় রওনা দিয়ে সাড়ে ৯টায় দৌলতদিয়া ঘাটে বসে আছি। ভেবেছিলাম পরিবহন বন্ধ থাকায় ঘাট পারাপারে তেমন সময় লাগবে না। বেলা সাড়ে ৯টায় ঘাটে এসে দেখি ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি। তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ফেরিতে উঠার সিরিয়াল পেয়েছি।

অন্য দিকে সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ও প্রশাসনের পাস নিয়ে আসা ছোট গাড়িই পার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি পারের জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছে। এসব পারাপার নিয়ন্ত্রণে লোকবল প্রয়োজন, কিন্তু তাদের লোকবল কম। ফেরির ছাড়ার সময় যাত্রীরাও লাফিয়ে উঠে যাচ্ছে। এ জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা প্রয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement