বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফকে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ২০ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৪১
মহান স্বধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী ফরিদপুরের মধুখালীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পারিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গ্রাম কামারখালী ইউনিয়নের রউফনগরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার চত্বরে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোস্তফা মনোয়ার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো: মুরাদুজ্জামান মুরাদ, বীরশ্রেষ্ঠর বড় বোন জোহরা বেগম, কামারখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান বাবুসহ অনেকে।
পরে বীরশ্রেষ্ঠের রূহের মাগফিতার কামনা করে দোয়া ও মুনাজাতে অংশ নেন অতিথিরা।
এর আগে সকালে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বীরশ্রেষ্ঠর বড় বোন জোহরা বেগমসহ স্থানীয় বিশিষ্টজনরা।
এ ছাড়া বাদ মাগরিব স্থানীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
কামারখালী হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় আব্দুর রউফ ১৯৬৩ সালের ৭ মে ইপিআর পরবর্তীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিডিআর) যোগ দেন। ১৯৭১ সালে তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামে ১১ নম্বর উইংয়ে চাকরিরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে গ্রামে ছুটে আসেন তিনি। মায়ের দোয়া আর ছোট বোনদের সাথে দেখা করে চাকরিতে ফিরে যান তিনি। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানিতে যোগদান করে মুন্সী আব্দুর রউফ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পাক-হানাদারদের সাথে সন্মুখযুদ্ধে বর্তমান রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থানার বুড়িঘাটের চিংড়িখাল নামক স্থানে তিনি শহীদ হন। তিনি নিজে শহীদ হয়ে সঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করে বীরত্বের এক অনন্য নজির স্থাপন করে যান। তাকে ওই স্থানেই দাফন করা হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ এই অবদানের জন্য পরবর্তীকালে তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা