২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শরীয়তপুরে প্রবাসীকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা

শরীয়তপুরে প্রবাসীকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা - ছবি- সংগৃহীত

শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপড়ায় দাদন খলিফা নামে মালয়েশিয়া প্রবাসীকে রাতের আঁধারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে বাবুবাজার ব্রিজের কাছে পৌঁছলে শুক্রবার ভোর সারে ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয়।

এ হত্যার জন্য এলাকার আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থাকায় প্রতিপক্ষের লোকজনকে দায়ী করছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনার পর পরিবেশ শান্ত রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিহত দাদন খলিফা শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের গয়ঘর খলিফা কান্দি গ্রামের সেকেন্দার খলিফার ছেলে। এ ঘটনায় দাদনের বাবা সেকেন্দার খলিফা ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দাদন দেড় মাস আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন। ১৯ দিন আগে বিয়ে করেছেন। নিহতের স্বজনদের দাবি, দাদনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

পালং মডেল থানা সূত্র ও নিহতের স্বজনরা জানায়, প্রতিবেশী ইদ্রিস খান ও শাহজাহান খানদের সাথে সেকান্দার খলিফাদের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার গয়ঘর খলিফা কান্দি মসজিদে তারাবির নামাজ শেষে দাদন খলিফা তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তা থেকে তুলে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। পরে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

এ সময় দাদনের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান।

নিহতের স্বজনরা আরো জানান, ২৫ বছর আগে সেকান্দার খলিফার বোন দিলুনুরকেও একইভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এজন্য খলিফা বাড়ির লোকজন প্রতিপক্ষকেই দায়ী করছে।

নিহত দাদনের বাবা সেকান্দার খলিফার অভিযোগ, দু’মাস আগে এসকান্দার সরদার তার পক্ষে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাজ করতে প্রস্তাব করেন। এসকান্দার সরদারের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তার পক্ষের ইদ্রিস খান, শাহজাহান খান, আবুল খান, আজাহার খান, রশিদ খলিফা ও আজিত খলিফারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সঠিক বিচার দাবি করছি।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মুনীর আহমেদ খান বলেন, নিহতের গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার করে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement