২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কঠোর লকডাউনেও দৌলতদিয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার অব্যাহত

কঠোর লকডাউনেও দৌলতদিয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার অব্যাহত - ছবি- সংগৃহীত

সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল করছে। রাতে পার হচ্ছে মালবাহী গাড়ি। আর ২৪ ঘণ্টাই জরুরিসেবার আওতায় রোগী ও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সাথে সমানে পার হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি। একইসাথে ফেরিতে গাদাগাদি করে যাত্রী পারাপারও অব্যাহত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধিও সঠিকভাবে নামা হচ্ছে না। ফলে কঠোর লকডাইনের উদ্দেশ্য সফল হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।

দেশব্যাপী শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয় ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলো রাতে ফেরি পার হবে। প্রতিরাতেই ট্রাক পারাপার করা হয় বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

দেশে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বুধবার থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ের লকডাউন। এর এক সপ্তাহ আগে দেশে লকডাউন ঘোষণা হলেও তা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। তাই ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য শুরু হয় কঠোর লকডাইন। কিন্তু কঠোর লকাডাউন শুরুর আগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্তে আটকা পড়ে তিন-চার শ’ ট্রাক। আটকে পড়া ওইসব ট্রাকে পচনশীল পণ্যও রয়েছে। যা নষ্ট হওয়ায়র আশঙ্কায় পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো রাতে পারাপারের অনুমোতি পেয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ- বিআইডাব্লিউটিসি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট বিআইডাব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক ফিরোজ খান আরো জানান, সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণার পর বুধবার ভোর থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সব ধরনের যানবাহন পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধু লাশ ও রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। তাও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে।

অবশ্য বাস্তব চিত্র অনেকটা ভিন্ন। সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনের বেলায় লাশবাহী ও রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের সাথে ব্যক্তিগত গাড়ি আর যাত্রীরাও ফেরিতে পার হচ্ছে পদ্মা।

এ দিকে দিনে পার না করায় দৌলতদিয়াপ্রান্তে সড়কে ট্রাকের লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এসব ট্রাক পার করা হবে। ট্রাকের সাথে ব্যক্তিগত বা অন্য যানবাহন পারাপার হবে কি না- জানতে চাইলে ঘাটের কর্মকর্তা ফিরোজ খান বলেন, এটা প্রশাসনের ব্যাপার। ‘প্রশাসন অনুমতি না দিলে হবে না’।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যক্তিগত যানবাহন ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। প্রতিটি গাড়িতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার ফিরোজ বলেন, ‘সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাট থেকে ফেরি ছাড়ার আগে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি নেয়া হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement