বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ
- ১১ এপ্রিল ২০২১, ২১:২৭, আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২১, ২১:২৯
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামে গ্রীষ্মের খরা, অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী।
রোববার সকাল ৭টার সময় গজারিয়া উপজেলার ষোলআনী গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি ও খরা থেকে রক্ষা পেতে মহান রবের কাছে বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। মোনাজাত করেন বয়রাকান্দি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মো: সোলেমান।
সৌদি আরবে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রতি বছরই একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ পড়া হয়। বিশেষ করে যখনই অনাবৃষ্টি তাপদাহ বেড়ে যায় তখনই নামাজে ইসতিসকার আদায় করা হয়। ইসতিসকার সালাত আদায় করা নফল ইবাদত। তবে মহামারী বা দুর্যোগের সময় এই সালাতের গুরুত্ব অনেক।
একনিষ্ঠ তাওবা করার (তাওবাতুন নসুহা) মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করে অতিরিক্ত ১২ তাকবিরের দু’রাকায়াত সুন্নাত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে। এই নামাজে কোনো আযান বা ইকামত নেই। তবে জামাতের সাথে আদায় করতে হয়।
এ বিষয়ে মুফতি আবু নাঈম মুহাম্মদ কাউসার বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহে দেশের মানুষের বিপদ ও দুঃখ বেড়ে গেলে প্রয়োজন পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা সুন্নাত। একেই আরবিতে বলা হয় ‘ইসতিসকা’ অর্থাৎ পানি প্রার্থনা করা।
হাদিসে রাসুলুল্লাহ সা: বৃষ্টি প্রার্থনার সময় বলতেন, হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাকে এবং তোমার পশুদের পানি দান করো। আর তাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ করো ও তোমার মৃত জমিনকে জীবিত করো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা