২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটকদের মুক্তি দাবি

সালথা ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি বিএনপির

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ - ছবি- সংগৃহীত

ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতা কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রামবাসীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে বিএনপি।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম এ দাবি জানান। তিনি বলেছেন, ৪ এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল গ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী মনের দুঃখে ইমোশনাল হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন, এটি পরিকল্পিত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সাথে জড়িত। এটি একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা। আমরা এ ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাক হোসেন বাবলু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আশরাফ নান্নু, শহর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমটি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন জুয়েল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সালথা পরিদর্শন ও পরে সমাবেশে তাদের দেয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানা শামা ওবায়েদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হেফাজতের আড়ালে বিএনপি এ কাজ করেছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। অথচ হেফাজত তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি জননী আখ্যা দিয়েছিল। ওই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালন পালন করেছে।

শামা ওবায়েদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি ও গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এতো তাণ্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে ও লালন পালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে যে হেফাজত এই তাণ্ডব চালাচ্ছে ও আওয়ামী লীগই এই তাণ্ডব বন্ধ করতে পারে। এই নিন্মমানের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেত্রী আরো বলেন, ঘটনার রাতে পুলিশ যেই চিত্রটি দিয়েছিল পর দিন দেখা গেলো মামলায় তার উল্টা। ২০১৩ সালে নগরকান্দায় পুলিশের গুলিতে বিএনপির কর্মী মারুফ হত্যার পর ওই মামলায় নিহত মারুফের পরিবারকে আসামি করা হয়েছিল। একইভাবে ৪ এপ্রিলের ঘটনায় নিহতদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিতিতে তার ছেলের নির্দেশে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শামা ওবায়েদ।

তিনি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের মুক্তি দাবি করেন।

ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে হলে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে মাঠে এসে মোকাবেলা করতে হবে। প্রশাসন দিয়ে, রাষ্ট্র যন্ত্র দিয়ে দমন পীড়ন করে, মিথ্যা মামলায় এলাকাছাড়া করে এই রাজনীতি বেশি দিন চালাতে পারবেন না। তিনি করোনা মোকাবেলায় সারাদেশে সরকারের সমন্বয়হীনতারও অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৪০ নিউইয়র্কে মঙ্গোলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ফ্ল্যাট জব্দ করবে যুক্তরাষ্ট্র! টাঙ্গাইলে লরি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১ জিম্বাবুয়ে সিরিজে অনিশ্চিত সৌম্য

সকল