২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নবাবগঞ্জের গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ

নবাবগঞ্জের গাছে গাছে আমের মুকুলের সমারোহ - ছবি : নয়া দিগন্ত

শীতের বিদায়ের মধ্য দিয়ে ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। এ বছর আমের ভালো ফলন পাওয়া যাবে এমনটাই জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে বাড়তি পরিচর্যার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিবিদরা।

প্রতিবছরই শীতের বিদায় আর বসন্তের আগমনী বার্তার মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের প্রতিটি আম গাছে আসতে শুরু করে আমের মুকুল। এ দুটি উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক আমের চাষ না হলেও স্থানীয়ভাবে আমের চাহিদা থাকায় কৃষকেরা আমের মুকুল আসার পর গাছের বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকেন। এখানে প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে একাধিক আমের গাছ। এ সময়টাতে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল।
আগামী কয়েক সপ্তাহ পর মুকুল পরিণত হবে গুটিতে। ওই সময়ে বোঝা যাবে এ বছর আমের ফলন কেমন হবে। তার আগেই আমচাষিরা গাছের যত্ন নিচ্ছেন। কেউ সেচের ব্যবস্থা করছেন। কেউবা কৃষি অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণের পর সেভাবে পরিচর্যা করছেন। দোহার উপজেলার রাইপাড়া, কুসুমহাটি, নারিশা, মুকসুদপুর ও নয়াবাড়ি ইউনিয়নসহ নবাবগঞ্জ উপজেলার সব ইউনিয়নের গাছে এবার প্রচুর মুকুল এসেছে। এক সময় এ দুই উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির আমের চাষ হলেও এখন উন্নত জাতের আম গাছের চারা সংগ্রহ করে চাষ করা হচ্ছে। এখানে ফজলি, লখনা, গোপালভোগ, আম্রপালি, হিমসাগর, দুধসর ইত্যাদি আম চাষ করা হচ্ছে।

উপজেলার বানাঘাটা এলাকার আমচাষি এমদাদ মোল্লা জানান, ‘তার আম বাগানের প্রতিটি গাছে এবার মুকুল এসেছে। মৌসুমী বৃষ্টি না হওয়াতে সেচের ব্যবস্থা করায় ‘গুটি ঝরা’ রোধ হয়েছে। তাপমাত্রা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন।’

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন ইয়াকুব জানান, ‘এ অঞ্চলে এ বছর আম গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে মুকুল এসেছে। বাড়তি একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন আশা করা যায়। তিনি মুকুল আসার পর এন্টি ফাঙ্গাস ও আমের গুটি হওয়ার পর কীটনাশক জাতীয় ওষুধ ছিটিয়ে আম সংরক্ষণ করা যেতে পারে।’

তিনি আরো জানান, ‘বৃষ্টি না হওয়াতে গাছের চারপাশে সামান্য গর্ত করে সেচের ব্যবস্থা করা গেলে অধিক ফলন আশা করা যায়।’


আরো সংবাদ



premium cement