২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গ্যাস বিস্ফোরণে উড়ে গেল দরজা-জানালা, শিশুসহ দগ্ধ ৬

গ্যাস বিস্ফোরণে উড়ে গেছে দরজা-জানালা, শিশুসহ দগ্ধ ৬ - ছবি : নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইরে ছয়তলা একটি ভবনে সিলিন্ডার গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণের কারণে উড়ে গেছে ঘরের দরজা-জানালা।

সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মাসদাইর শেরেবাংলা লিংক রোডের ছায়াবীথি আবাসিক এলাকার সৌদি প্রবাসী আকবরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, সিলিন্ডার গ্যাস লিকেজ থেকে পুরো ফ্লাটে গ্যাস জমে গিয়ে কোনো কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধরা হলেন পোশাক কারখানারা শ্রমিক মো: মিশাল (২৬), তার স্ত্রী মিতা বেগম (২৩), মেয়ে আফসানা আক্তার (৪), দেড় বছরের শিশু মিনহাজ, মিশালের দুই শ্যালক হোসিয়ারি শ্রমিক মো: মাহফুজ ও সাব্বির হোসেন (১৫)। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হঠাৎ ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ছয় তলার দুটি ও পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে টুকরো হয়ে উড়ে যায়। জানালার গ্রিল ভেঙে বাঁকা হয়ে গেছে, থাইগ্লাসগুলো চূর্ণ হয়ে মাটিতে পড়ে গেছে।

বাড়িওয়ালার ছোট ভাই কাওছার জানান, চলতি মাসে পরিবারটি ষষ্ঠ তলায় তিন রুমের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ওঠেন। গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই ফ্লাটের বিভিন্ন রুমে তা জমাট বেঁধে থাকে। রাতে খাওয়ার পর পরিবারের কেউ সিগারেট অথবা মশার কয়েল জ্বালানোর উদ্দেশে আগুন জ্বালালে মুহূর্তের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় অন্য রুমেও ছড়িয়ে পড়ে।

এতে ওই পরিবারের ছয় সদস্য দগ্ধ হন। তাদের ডাক-চিৎকারে বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা এসে আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠান।

নারায়ণগঞ্জ শহরের মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে মণ্ডলপাড়া ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন স্থানীয়রা।

আগুনে ওই ফ্ল্যাটের অধিকাংশ আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং দগ্ধদের ঢামেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ইমন গুরুতর দগ্ধদের দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠায়।


আরো সংবাদ



premium cement