স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো : আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি
- মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর
- ০৮ মার্চ ২০২১, ২০:৫৫
গাজীপুরে গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রী রেহানা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করার ঘটনায় আদালতে সোমবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী জুয়েল আহমেদ। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
রোববার জুয়েলকে আটক করা হয় এবং সোমবার নিহত রেহানা আক্তারের বড় ভাই মো: হোসাইন শহীদ জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাকিবুল ইসলাম জানান, ‘গার্মেন্টসকর্মী স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো করার ঘটনায় নিহতের স্বামী জুয়েল আহমেদকে রোববার গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার তাকে গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে জুয়েল আহমেদ তার স্ত্রীকে হত্যার পর সাত টুকরো করার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
তিনি আরো জানান, ‘ভাইয়ের শ্যালিকা রেহানাকে বিয়ের আগে জুয়েল আরো একটি বিয়ে করেন। ওই সংসারে তার একটি মেয়েসন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে জুয়েল-রেহেনা ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন। জুয়েলের আগের বিয়ের কথা জানতেন না রেহানা আক্তার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে জুয়েল ও রেহানার মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রেহানাকে মারধর করেন জুয়েল।
মারধরের এক পর্যায়ে রেহানা জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় তাকে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করেন জুয়েল। পরে বাজার থেকে একটি ধারালো ছুরি কিনে আনেন তিনি। রাতে রেহানার লাশ সাত টুকরো করে তিনটি বস্তায় ভর্তি করেন। পরে বস্তাগুলো বাসার পার্শ্ববর্তী টয়লেটের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক সংলগ্ন ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে থাকেন জুয়েল। রোববার দুর্গন্ধের সূত্র ধরে সদর উপজেলার মনিপুর এলাকা থেকে লাশের টুকরোগুলো পুলিশ উদ্ধার করে। এসময় নিহতের স্বামী জুয়েলকে আটক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা