২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রেম করে বড় ভাইয়ের শ্যালিকাকে বিয়ে, অতঃপর ৭ টুকরা করে হত্যা

প্রেম করে বড় ভাইয়ের শ্যালিকাকে বিয়ে, অতঃপর ৭ টুকরা করে হত্যা - ছবি : নয়া দিগন্ত

বড় ভাইয়ের শ্যালিকার সাথে প্রেম করে দুই বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন জুয়েল আহমেদ (২২)। বিয়ের দুই বছর পার হতে না হতেই পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী রেহানা আক্তারকে (২০) সাত টুকরা করে হত্যা করেন স্বামী জুয়েল। পরে টুকরা করা লাশটি বস্তায় ভরে জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি।

রোববার বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার বোকরান মনিপুর এলাকা থেকে রেহানা আক্তারের বস্তাবন্দী সাত টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জুয়েল আহমেদকে গ্রেফতার করে।

নিহত রেহানা সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কচির গাতি গ্রামের মালেকের মেয়ে। নিহতের স্বামী একই এলাকার মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, জুয়েল তার বড় ভাইয়ের শ্যালিকা রেহানার সাথে প্রেম করে দুই বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করে। তারা গাজীপুর সদর উপজেলার বোকরান মনিপুর এলাকায় জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ফকির ফ্যাশন লিমিটেডে শ্রমিকের কাজ করতেন।

৪ মার্চ সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জুয়েল রেহানাকে মারধোর করে। রেহানা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। গভীর রাতে জুয়েল দাঁড়ালো ছুরি দিয়ে রেহানাকে প্রথমে গলা কেটে দ্বিখণ্ডিত করে। পরে কোমর, হাটু ও হাত কেটে সাত টুকরা করে কাপড়ে মুড়িয়ে তিনটি বস্তায় ভরে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকির ওপরে জঙ্গলে ফেলে দেয়।

রোববার লাশ থেকে গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ নিহতের স্বামী জুয়েলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে জুয়েল হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। পুলিশ লাশের বস্তা এবং ছোরা উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement