২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধুপুরে কলাগাছ ও আনারসের পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে শৌখিন তৈজসপত্র

-

আনারসের রাজধানী খ্যাত টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রচুর কলার চাষও হয়। ফল হবার পর এসব কলা ও আনারস গাছের পাতা ফেলে দেয়া হতো। কিন্তু, বর্তমানে এ কলাগাছের বাকল ও আনারসের পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নানা ধরণের শৌখিন পণ্য। মধুপুরের বনাঞ্চল জাঙ্গালিয়া গ্রামে ২০১৭ সালের শুরুর দিকে এ হস্তশিল্প কারাখানার পথচলা শুরু হয়। এখানে কাজ করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন অর্ধশতাধিক বেকার নারী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকজন শ্রমিক ফেলে দেয়া কলাগাছ ও আনারসের পাতা সংগ্রহ করে কারখানায় আনছেন। পাশেই দু’শ্রমিক এসব পাতা থেকে আঁশ বের করছেন। পরে আঁশগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন তারা। বেরিবাইদ গ্রামের মো. ফিরোজ বলেন, কলাগাছের বাকল ও আনারসের পাতা থেকে এত সুন্দর কিছু হতে পারে তা জানতাম না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব জানতে পেরেছি।

প্রথমে মেশিনের মাধ্যমে কলাগাছ ও আনারসের পাতা থেকে আঁশ বের করা হয়। পরে ওই আঁশ দিয়ে টিস্যু বক্স, ডেস্ক অর্গানাইজার, নেট, পর্দা, ফ্লাওয়ার বক্স, ওয়াল হ্যাঙ্গিং, চাবির রিংসহ নানা পণ্য তৈরি হয়। মো. আমিনুর বলেন, আমাদের পণ্যগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তাই কাজের অর্ডারও অনেক
বেশি পাওয়া যায়। এখানে কাজ করে আমার মতো শতাধিক মানুষ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

প্রশিক্ষক রিমা হাজং বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিজ্ঞ করে তাদেরকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি হচ্ছে। এতে দরিদ্র নারীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। আগে যারা আনারস ও কলা বাগানে কাজ করতেন তারাও এখানে কাজ করছেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে পাচ্ছেন ভালো পরিমাণে টাকা।

নারী উদ্যোক্তা ও ব্যুরো ক্রাফটের মুখ্য সমন্বয়ক রাহেলা জাকির বলেছেন, মধুপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস ও পিছিয়ে পড়া দরিদ্র নারীদের কর্মসংস্থান। এ কারণে মধুপুরে এ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এখন কয়েক শ’ নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও কয়েক হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement