আগুন দিয়ে মসজিদ ও মন্দির পুড়িয়েছে ছেলে, দায় স্বীকার করলেন বাবা
- বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৭:১৯
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুরের সাহেবপাড়া ও জিয়েলগাড়ী গ্রামে দু’টি মসজিদ, একটি মন্দির ও খড়ের গাদায় অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মেচিত হয়েছে। ওই ঘটনায় আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ মৃত্যু হয় চারটি কুকুরের। ঘটনাটি ঘটিয়েছেন নবাবপুর ইউনিয়ন বিলভরা গ্রামের আলমগীর হোসেন মোল্যার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে তুষার আহম্মেদ মিম (২২)।
আলমগীর হোসেন মোল্যা শুক্রবার থানা পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তার ছেলের অপরাধ স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, তার ছেলে তুষার একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। তাকে ইতোপূর্বে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। চিকিৎসার পর কিছু দিন ভালো থাকলেও আবারো তার সমস্যা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ির পাশে মসজিদে আগুন দেয়ার পর তাকে ঘরে আটকে রাখি। রাতে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মধুখালীতে তার ফুফুর বাড়ির উদ্দেশে পায়ে হেটে রওনা দিয়ে পথে আরেকটি মসজিদ ও বিভিন্ন খড়ের গাদায় আগুন লাগান।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের বেরুলী সাহেবপাড়া গ্রামে বুধবার রাতে তুষার কালি মন্দির ও শ্মশানের কালি প্রতিমার গায়ে থাকা কাপড় আগুনে লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আগুনে জিয়েলগাড়ী গ্রামের চারটি কুকুর মারা যায়। আবার বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে বিলভরা মসজিদ, জিয়েলগাড়ী বড় মসজিদের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে কার্পেটে ও মসজিদের মিম্বরে আগুন লাগান। খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ শরিফুজ্জামানসহ থানা পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপস্থিত হই। সেখানে তদন্ত করে আলমগীর মোল্যার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে তুষার আহম্মেদ মিম এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পারি। পরে আলমগীর মোল্যার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা