২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাজিরায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ১

জাজিরায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত ১ - ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর সীমান্তে জমি নিয়ে দু’পক্ষের হামলায় ফরহাদ নামের এক অটোবাইকচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জাজিরা থানা ও নিহতের স্বজন মুজাম্মেল মাদবর জানান, উপজেলার পশ্চিম নাওডোবার তাহের মল্লিক কান্দি গ্রামের জুলহাস বেপারী ও কালামিয়া মল্লিকের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ মীমাংসায় বুধবার সকাল ৯টার দিকে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। জুলহাস বেপারীর পক্ষ সালিশে উপস্থিত না হওয়ায় উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় সালিশের তারিখ ধার্য করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালামিয়া মল্লিক বিরোধ চলা জমি থেকে ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটতে গেলে সাবেক চেয়ারম্যান জলিল গোমস্তার ভাগ্নে জুলহাস বেপারী ও তার লোকজন আগ্নেয় অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে কালামিয়া মল্লিক ও তার লোকজনের উপর হামলা চালায়।

তারা আরো বলেন, এ সময় শর্টগানের গুলিতে তৈয়ব আলী মল্লিকের ছেলে অটোবাইকচালক ফরহাদ মল্লিক (২৮) রেজু মল্লিক ও দিদার মুন্সী গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহন হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরহাদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় লাভলু মল্লিক জানান, ‘জুলহাস বেপারী, স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল গোমস্তা ও তার সমর্থকরা কালামিয়া মল্লিকের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা গুলি করে ফরহাদ মল্লিককে হত্যা করেছে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।’

সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল গোসস্তা বলেন, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসার কাজে আমি মাদারীপুর অবস্থান করছি। শুনেছি দু’পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বজনরা ঠান্ডু ফকির, সুলতার বেপরী, বাদশা হাওলাদারের বাড়ি-ঘরসহ বেশ কয়েটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহামুদুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি গুলিবিদ্ধ হয়ে ফরহাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ এস এম মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় শর্টগানের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জাজিরা থেকে তিনজন ও মুন্সীগঞ্জ থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। হামলাকারীদের আটকের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement