২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় বৃদ্ধ মনা হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ১৯ জনের নামে মামলা

নিহত মনা ও আসামি ছাত্রলীগের আশুলিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক টিটু। - নয়া দিগন্ত

আশুলিয়ায় ইলেকট্রিশিয়ান শাহজাদা খন্দকার মনাকে (৫০) কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগের আশুলিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতাসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার মৃত নুরুল হক খন্দকারের ছেলে শাহজাদা খন্দকার মনা নিজ বাড়ির পাশে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে গভীর রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু ও তার স্ত্রী আলেয়া বেগম। পরে শুক্রবার রাতে নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু আশুলিয়া থানায় হত্যা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুন পাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে আল আমিন ওরফে বাবু মিজি (২৬), একই এলাকার জমির মোল্লার ছেলে নুরুজ্জামান (৩৫), শাহজাহানের ছেলে ও আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ টিটু (৩০), শাহজাহান সরকারের ছেলে ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নেতা সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুল (৩৮) ও কবির হোসেনের ছেলে রনি (২৪), জয়পুরহাট জেলার সদর থানার রিপন হোসেনের ছেলে রকি (২১), নড়াইল জেলার নড়াগতি থানার খাশিয়াল গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রেজাউল ইসলাম পারভেজ (১৯), মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার কচুয়া গ্রামের লিটনের ছেলে মেহেদী হাসান নাজমুল (২৫), একই জেলার সদর থানার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগকর্মী আরিফ (৩০) ও শিবালয় থানার তেওতা গ্রামের মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে জুয়েল (৩০), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার সিনন্দীন গ্রামের নান্নু মিয়ার ছেলে সুমন (২৫) ও একই জেলার দেলদুয়ার থানার নান্দুলিয়া গ্রামের মৃত আমির খানের ছেলে রাব্বী (১৯)। তবে তারা সবাই ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা।

এ ঘটনায় গ্রেফতার চারজন হলেন জুয়েল, নুরুজ্জামান, মেহেদী হাসান নাজমুল ও রেজাউল ইসলাম পারভেজ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডেন্ডাবরের ওই এলাকায় একটি ক্লাব তৈরি করে বিভিন্ন সময় আসামিরা গান-বাজানা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। এতে এলাকাবাসীর সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় মনা তাদের এসব বন্ধ করতে বলেন। পরে বৃহস্পতিবার আবার গেলে মনাকে মারধর করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শামিউল আলম শামিম বলেন, আটক জুয়েল, নুরুজ্জামান, সুমন, মেহেদী নামে কোনো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীকে আমি চিনি না। শুধু আরিফকে চিনি ভালো করে। তিনি যুবলীগ করেন। আর টিটুকে একটি পক্ষ ফাঁসাচ্ছে। টিটু যেহেতু আমার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি যদি অপরাধী হন তাহলে শাস্তি হবে। মামলা হওয়া মানেই তো তিনি অপরাধী নয়।’

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, শুক্রবার রাতেই নিহতের ভাই শাহাবুদ্দিন খন্দকার পিন্টু একটি মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement