২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বালিয়াকান্দিতে চুরির অভিযোগে ৫ জনকে নির্যাতনের পর পুলিশে সোপর্দ

চুরির অভিযোগে ৫ জনকে পুলিশে দেয়া হয় - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারাদী গ্রামে চুরির অভিযোগে একজনকে আটকের পর অপর চারজনকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ পাঁচজনকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হেফাজতে নিয়েছে।

উপজেলার বারাদী গ্রামের আরমান মন্ডলের ছেলে আফসার মন্ডল বলেন, ‘বুধবার রাতে বারাদী গ্রামের মসজিদের কাছে কোরআনের মাহফিল চলাকালে বাড়ির সবাই ঘরে তালা মেরে সেখানে যান। রাত ১০টার দিকে আমার ছেলে সাগর মন্ডল ঘরের অদূরে আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মিজানকে (২৭) হাতেনাতে ধরে ফেলে। এসময় মিজান তার হাতে কোপ দিয়ে ছুটে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা আমার ঘরের টিনের বেড়া কেটে জানালা খুলে ভিতরে ঢুকে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৮৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

পরে মিজান তার সহযোগী উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারাদী গ্রামের বরকত আলী খানের ছেলে সবুজ খান (১৮), ছলিম সরদারের ছেলে আলেক সরদার (৩৫), রাজ্জাক পোটারের ছেলে রেজাউল (২৫) ও নারায়নপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মন্ডলের ছেলে আরজু মন্ডলের (২৮) নাম প্রকাশ করলে তাদেরকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।’

অভিযুক্ত মিজান বলেন, ‘আমি ওই বাড়ির পিছনে গাঁজা খাচ্ছিলাম। আমাকে ধরে মারধর করে তাদের নাম বলার পর বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারধর করে।’

আলেক সরদার বলেন, ‘আমি কোনো চুরির সাথে জড়িত নই। আমি মিষ্টির কাজ করি। আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে মারধর করেছে। আমি সঠিক বিচার চাই।’

সবুজ খানের বাবা বরকত আলী খান অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত ২টার দিকে আমার বাড়ি থেকে ছেলেকে ডেকে নিয়ে চোর অপবাদ দিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে নির্মম নির্যাতন চালায়। আমার সাথে বসতবাড়ির জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় আমার ছেলেকে মিথ্যা চুরির অভিযোগ এনে ফাঁসাচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।’

বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে এনে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement